নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বাঁকুড়া :: সন্ধ্যে হওয়ার ঠিক আগে হাইটেনশান বিদ্যুতের উঁচু টাওয়ারে উঠে পড়েছিলেন তিনি। তাও আবার টাওয়ারের একেবারে মধ্যস্থানে। অনেক সাধ্য সাধনাতেও তিনি নামতে নারাজ। অগত্যা কাকভোর থেকে দমকল, পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলার জোগাড়। দিন ভোরে অক্লান্ত পরিশ্রমে অবশেষে তাকে নামানো সম্ভব হয়।
তবে তাকে নামানো হলো একেবারে বহাল তবিয়তেই। টাওয়ার থেকে নামিয়ে আনতেই তাঁকে আটক করল পুলিশ। ঘটনা বাঁকুড়ার শালতোড়া থানার শুকনি বাসা গ্রামের। গ্রামের সীমানা দিয়ে চলে গেছে মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ বাহী হাইটেনশান লাইন।
বিদ্যুৎ বাহী হাইটেনশান লাইনের সেই উঁচু খুঁটিরই একেবারে মধ্যস্থানে উঠে বসে আছেন এক মধ্য বয়সী যুবক।
গতকাল সন্ধ্যায় এমন ঘটনা দেখে রীতিমত শিউরে উঠেছিলেন গ্রামের মানুষজন । যে কোনো সময় বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা বুঝতে পেরেই আজ সকালে শালতোড়া থানায় খবর দেন স্থানীয়রা।
ঘটনাস্থলে ছুটে এসে যুবককে নেমে আসার জন্য কাকুতি মিনতি করতে থাকেন তাবড় পুলিশ আধিকারিকরা। কে শোনে কার কথা। চুপচাপ টাওয়ারের মধ্যস্থানে বসে থেকে নিরুত্তাপ যুবককে দেখে হাল ছাড়ে পুলিশ। খবর দেওয়া হয় দমকলে।
দমকল কর্মীরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবককে টাওয়ার থেকে নামিয়ে আনতে ব্যার্থ হয়। এরপর খবর দেওয়া হয় সিভিল ডিফেন্স কে । সকাল থেকে দমকল, পুলিশ, ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের যৌথ উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত আজ দুপুর বারোটা নাগাদ ওই যুবককে নামিয়ে আনা হয় টাওয়ার থেকে।
যুবক নেমে আসতেই শালতোড়া থানা তাঁকে আটক করে শালতোড়া থানায় নিয়ে যায় । মধ্যবয়সী এই যুবকের নাম রামদাস মান্ডি বাড়ি পুরুলিয়া জেলার রাঙ্গামাটি গ্রামে । স্থানীয় শুকনি বাসা গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে তিনি এসেছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর ।