নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: বুধবার ১৯,ফেব্রুয়ারি :: বিবাদ মেটাতে ‘সালিসি সভা’ বসল গ্রামে। তাও আবার তৃণমূল পরিচালিত বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে ,সেই সভাতে গৃহবধূকে ও নাবালক দুই সন্তানকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। খোদ অঞ্চল সভাপতি বকুল সেখ ওরফে,মোহাম্মদ ফখরুদ্দিনের বিরুদ্ধে, মারধরের অভিযোগ।
খোদ পঞ্চায়েত অফিসের ভেতর পঞ্চায়েত প্রধানের সামনে এমনটা ঘটেছে বলে অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী। তবে আক্রান্তদের বক্তব্যে পঞ্চায়েতের ঘরের ভেতর মারধরের অভিযোগ থাকলেও পুলিশের কাছে দেওয়া অভিযোগে রাস্তা আটকে মারধরের অভিযোগ লিপিবদ্ধ হয়েছে।
ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম এলাকা জুড়ে। জানা গিয়েছে, কাটোয়া মহকুমার কেতুগ্রাম এক নম্বর ব্লকের বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের মোরগ্রামের বাসিন্দা আজমিরা খাতুন ও তাঁর স্বামী মহরলাল মোল্লা। দীর্ঘদিন ধরে একটি দোকান ঘর ভাড়া দেয় আব্বাস শেখ নামে এক ব্যক্তিকে।
দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া রয়েছে দোকানঘর ভাড়ার টাকা,সেই দোকানের ভাড়া চাইতে গেলে বিবাদ বাদে গ্রামেরই আব্বাস শেখের সাথে। ভাড়াটিয়া আব্বাস শেখ বলে প্রধান ডেকেছে পঞ্চায়েতে ।প্রধানের ডাকে ঐ দম্পতি ও তাদের দুই নাবালক সন্তান যায় পঞ্চায়েত অফিসে।
এরপর সালিশি সভায় মারধরের অভিযোগ ওঠে অঞ্চল সভাপতি মোহাম্মদ ফখরুদ্দিনের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই দম্পতি। পঞ্চায়েতে কীভাবে সভা ডাকা হল? প্রশ্ন উঠেছে।
অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন পঞ্চায়েত। যদিও তাঁর দাবি, সালিশি সভা হয়নি। দম্পতিকে মারধর করা নিয়েও মুখ খুলতে চাননি কেউ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ।