সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: সোনারপুর :: শুক্রবার ১৫,ডিসেম্বর :: দক্ষিণ শহরতলিতে তৃনমূলের নেতাকর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধেই মানসিক হেনস্থার অভিযোগ তুললেন খোদ তৃণমূল কাউন্সিলর। ঘটনা রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা এলাকার। সেখানে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার দলের একাংশ এলাকায় তোলাবাজি চালাচ্ছে বলে অভিযোগও করেন।
আর তাতে সমর্থন না দেওয়াতেই তাঁকে বীভৎসভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের ওই নেত্রীর। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সোনারপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। নালিশ জানিয়েছেন দলীয় নেতৃত্বের কাছেও। সোনারপুর-রাজপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে প্রতীক দে নামে দলেরই এক নেতা ও তাঁর দলবল বিভিন্নভাবে ওই তাঁকে হেনস্তা করছিলেন। এ বিষয়ে এলাকার শীর্ষ নেতাদের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন পাপিয়াদেবী।
সেই সময় দলের তরফে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি বদলায়নি বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি প্রতীক পাপিয়াকে একাধিক বেআইনি কাজে সহযোগিতার আহ্বান জানায়। পাশাপাশি বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু তাতে রাজি হননি ওই কাউন্সিলর। এর পরই পরিস্থিতি আরও জটিল হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের ওই মহিলা কাউন্সিলরের বক্তব্য, সম্প্রতি তাঁর বাড়িতেও চড়াও হয়েছিল তৃণমূলের ওই নেতার ঘনিষ্ট লোকজন।
কাউন্সিলরের অভিযোগের তীর মূলত এলাকারই এক যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার জানাচ্ছেন, এই চরম মানসিক ও সামাজিক অত্যাচারের ফলে তিনি প্রবলভাবে মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন। তাঁকে পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। এমনকী তাঁর প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি , সূত্র মারফত জানা গিয়েছে,ওই যুব তৃণমূল নেতা তাঁকে কিছুদিন আগে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর থেকেই কাউন্সিলরকে বিভিন্নভাবে অপদস্থ করার কাজ শুরু হয়েছিল বলে অভিযোগ।