নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নদিয়া :: শনিবার ১৬,সেপ্টেম্বর :: সামনেই বিশ্বকর্মা পুজো । আর এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি। দুপুর থেকে বিকেলে আকাশে উড়তে থাকে রং বেরঙের নানান ঘুড়ি। এই দিন কত ধরণের যে ঘুড়ি দেখা যায় আকাশে তার ঠিকানা নেই।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হামেশাই এই দিন আকাশে ঘুড়ির লড়াই দেখা যায়। এই ঘুড়ি আকাশে উড়াতে ব্যবহৃত হয় নাইলন সুতো। কিন্তু বর্তমানে নদিয়া জেলায় নাইলন সুতো প্রশাসন থেকে ব্যান করা হয়েছে। তাই নাইলনের পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে সাধারণ সুতো।আর যার ফলে পুজোর দিন প্রচলিত প্রচলনে কিছুটা হলেও বাধা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সুতো ব্যানের কারণ।
আকাশে পাখির মতো ঘুড়ি ওড়াতে সাধারণত নাইলন সুতোকে ব্যবহার করা হয়। না হলে সঠিকভাবে ঘুড়ি আকাশে ওড়ানো সম্ভব না বা ঘুড়ির লড়াইয়ে কেউ টিকে থাকতে পারে না। কিন্তু বর্তমানে নদিয়া জেলায় প্রশাসন থেকে নাইলন সুতো ব্যান করা হয়েছে।
এই নাইলন সুতোকে চিনা মানজাও বলা হয়। কারণ এই সুতোর ওপর মাঞ্জা দিতে এক ধরনের কেমিক্যালের প্রলেপ দেওয়া হয়। যা সাধারণত কাঁচের গুঁড়ো ও সাবুর গুড়ো দিয়ে তৈরি। যার ফলে এই চিনা মানজা বা নাইলন সুতোর দ্বারা বিভিন্ন পশুপাখি সহ মানুষও বহুবার আহত হয়েছে। যার ফলে প্রশাসন একাধিকবার মাইকিং করে এই নাইলনের সুতো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নদিয়া জেলায়।