নিজস্ব সংবাদদাতা ::সংবাদ প্রবাহ টিভি :: ১৬ই,জানুয়ারি :: বাঁকুড়া :: অভিযোগ, ঘরছাড়া পরিবার দীর্ঘদিন পরে ঘরে ফিরতে গিয়ে পুলিশের সামনেই মার। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১ লা আগষ্ট বেলিয়াড়াতে তৃণমূলের বর্তমান প্রধানের স্বামীর হাতে খুন হয়েছিল ওই অঞ্চলের প্রাক্তন প্রধান, এমনই অভিযোগ উঠেছিল।তারপর থেকে ঘরছাড়া গ্রামের প্রায় ১০০ জন তৃণমূল কর্মী ও তাদের পরিবার। দীর্ঘ ছয় মাস ঘর ছাড়া পরিবার গুলিকে আজ বিষ্ণুপুর থানার পুলিশের তত্ত্বাবধানে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে উদ্যোগ নেওয়া হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
অভিযোগ, ঠিক তখনই তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর হাতে পুলিশের সামনেই লাঠিপেটা হয়ে পিছু হটতে হল তাদের। গ্রাম ছাড়া তৃনমুলের প্রায় ১০০ কর্মী বাসে করে গ্রামে ঢুকতে গেলে তৃনমুলের অপর গোষ্ঠীর লোকজন বাধা দেয় এবং পুলিশের সামনে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজন, গ্রামে ঢুকতে না পেরে অপর গোষ্ঠীর কাছে মার খেয়ে বিষ্ণুপুর থানার সামনে প্রবল বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন আহতদের পরিবারগুলি।
প্রসঙ্গত অভিযোগ, ২০১৯ সালের ১লা আগষ্ট বেলিয়াড়া গ্রামে খুন হন স্হানীয় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান বাবর আলী।এই খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় বর্তমান পঞ্চায়েতের প্রধান তসমিনা খাতুনের স্বামী রহিম মন্ডল ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।পরে পুলিশ রহিম মণ্ডল ও বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।ঘটনার পর থেকে পঞ্চায়েত প্রধান ও তার পরিবারের সহ ১০০ জনের বেশী গ্রাম ছাড়া।
আজ পুলিশের সহযোগিতায় গ্রাম ছাড়া প্রায় ১০০ জন একটি বাসে করে বেলিয়াড়া গ্রামে নিজের নিজের বাড়ী ফেরানোর চেস্টা করে প্রশাসন। অভিযোগ, মৃত তৃনমুলের প্রাক্তন প্রধানের গোষ্ঠীর লোকজন গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয় ও প্রধান তাসমিনা খাতুন এর পরিবারের লোকজনদের পুলিশের সামনে লাঠি নিয়ে ব্যাপক মারধর করে বলেও অভিযোগ। পরে পঞ্চায়েতের প্রধান ও তার পরিবারের লোকজন বিষ্ণুপুর থানার দ্বারস্থ হন। থানার এসে ব্যাপক বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।
ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন স্থানীয় বিধায়ক তুষার ভট্টাচার্য্য, শাসক দলের বিধায়কের দাবী গন্ডগোল কারীরা বিজেপি সমর্থক। তবে রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী বর্তমান বিজেপি নেতা শ্যাম মূখার্জীর দাবী, ওখানে বিজেপির কোন সংগঠন নেই, তৃণমূলের মধে নিজেদের মারামারি।