নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: শুক্রবার ৯,আগস্ট :: ছাত্রজীবন থেকে শুরু রাজনৈতিক কেরিয়ার। সুদীর্ঘ রাজনীতিতে অবসর নিয়েছেন অনেকদিন। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও রাজ্য রাজনীতির খবর রাখতেন নিয়মিত।
বেশ কয়েক বছর ধরে ফুসফুসে সংক্রমণে ভুগছিলেন বুদ্ধবাবু। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভর্তি হতে হয়েছে হাসপাতালেও। প্রতিবারই মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েছেন তিনি। রাজ্যবাসীর মুখে হাসি ফুটিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন তিনি। কিন্তু এবার আর হল না। শ্রাবণের সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর জন্ম উত্তর কলকাতায়, ১৯৪৪ সালের ১ মার্চ। তিনি ছিলেন কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যর ভাইপো। ১৯৬১ সালে কলকাতার শৈলেন্দ্র সরকার বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হন বুদ্ধদেব। স্কুলজীবনেই যোগ দেন এনসিসি -তে। কলেজ জীবনে ছিলেন নৌ শাখার এনসিসি ক্যাডেট।
১৯৬৪-তে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতক হন। কলেজ জীবনেই যোগ দেন রাজনীতিতে। তিনি ছিলেন সিপিএম-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। সিপিএম -র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য।
১৯৭৭ সাল থেকে ’৮২ সাল পর্যন্ত জ্যোতি বসু সরকারের মন্ত্রিসভায় সামলেছেন তথ্য ও জনসংযোগ দফতরের দায়িত্ব। এই বিভাগই পরে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর নামে পরিচিত হয়। ১৯৮৭ থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী।সামলেছেন স্বরাষ্ট্র ও তথ্য প্রযুক্তি দফতরের দায়িত্ব।
১৯৯৯ সালে হন উপ মুখ্যমন্ত্রী। ৩ দফায় ১০ বছর ১৮৮ দিন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
প্রথমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন ২০০০ সালের ৬ নভেম্বর। ত্রয়োদশ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ১৮ মে, ২০০১-এ।
১৮ মে, ২০০৬-এ চতুর্দশ বিধানসভা সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন বুদ্ধদেব।
১৯ মে, ২০১১-য় পঞ্চদশ বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাজ্যে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান হয়।