নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বাঁকুড়া :: বুদ্ধি, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের সর্বোচ্চ দেবতা হিসেবেই পূজিত গণেশ। গত কয়েক বছর ধরে বাঁকুড়া শহরে শিব ও পার্বতীর এই পূত্রের পূজার সংখ্যা ক্রমবর্দ্ধমান। ফলে শারদোৎসবের আগেই এই পূজোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মৃৎশিল্পীদের বাড়তি কিছু রোজগারের সংস্থান তৈরী হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে গণেশ চতুর্থীতে গজাননের বিশেষ পূজা পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। অনেকের বিশ্বাস, বছরের এই বিশেষ দিনে গণেশ তার ভক্তদের সমস্ত মনোস্কামণা পূর্ণ করতে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন। আর সেই বিশ্বাস থেকেই বাঁকুড়ার মতো প্রান্তিক শহরেও গণেশ পূজোর চল বাড়তে শুরু করেছে।
শনিবার সকালে বাঁকুড়া শহরের এক মৃৎ শিল্পীর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, সার সার সুদৃশ্যকৃরুকাজ সমৃদ্ধ গণেশের মূর্তি। আপন খেয়ালে মূর্তি তৈরীর কাজ করছেন তিনি। হাতে আর মাত্র কয়েক দিন। ফলে দম ফেলার যেন ফূরসৎ নেই, তাঁর কর্মব্যস্ততা দেখেই যেন সে কথা বোঝা গেল।
প্রতিমা তৈরীর ফাঁকেই শিল্পী শ্যামসুন্দর চন্দ বলেন, আমাদের বাঁকুড়া শহরে আগে সেভাবে গণেশ পূজোর প্রচলণ ছিলনা। প্রতিবছর পূজার সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ির পূজার পাশাপাশি এখন সার্বজনীন পূজোও বেশ কয়েকটি হচ্ছে। চলতি বছরে তিনি নিজেই ২০ টির মতো ‘অর্ডার’ পেয়েছেন। সময়াভাবে শেষ মুহূর্তে আসা ‘অর্ডার’ গুলি নেওয়া যায়নি। একই সঙ্গে গণেশ পূজোকে কেন্দ্র করে বাঁকুড়া ‘মিনি মহারাষ্ট্র’ হতে চলেছে বলে তিনি মনে করছেন বলে জানান।