সজল দাশগুপ্ত :: সংবাদ প্রবাহ :: শিলিগুড়ি :: বৃহস্পতিবার ৭,মার্চ :: সকালে ঘুম থেকে ওঠার পড়ে আড়মোড়া ভাঙতে এক কাপ চায়ের জুড়ি মেলা ভার।গরম চায়ে চুমুক দিয়ে অনেকেই সকাল শুরু করে থাকেন। চা-প্রেমীদের ফার্স্ট ফ্লাশের চা পাতা বেশ পছন্দ।শীত প্রায় শেষ। বসন্তের আগমন , ছায়া গাছের ফাক দিয়ে রোদ পাতাগুলোকে আরো যেন সতেজ করেছে।
তবে এবার কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়নি তাই প্রথম ফ্ল্যাশের চা পাতার উৎপাদনের পরিমান তেমন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অনেক চা চাষি। উল্লেখ্য এই সময়টাতেই চা বাগানে উন্নত মানের চা পাতা পাওয়া যায়। এই চা পাতা পরিচিত ফার্স্ট ফ্লাশ নামে। এই চা পাতার চাহিদা থাকে ।
একটি কুড়ি দুটি পাতা তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ডুয়ার্সের চা বাগান গুলো। কিন্তু তিন মাস হয়ে গেলেও, চা পাতা তোলার কাজ বন্ধ থাকবার পরে, বেশ কয়েকটি বাগান এবং ক্ষুদ্র চা চাষীদের চা বাগান গুলিতে শুরু হয়েছে চা পাতা তোলার কাজ।
চা বাগানের বাবুদের ভাষায় বলে ফার্স্ট ফ্লাশের পাতা বলা হয়। গুণগত মান প্রথম ফ্লাশে পাতা অনেক উন্নত মানের হয়।ফেব্রুয়ারি থেকেই তরাই ও ডুয়ার্সের চা বাগান গুলিতে চা পাতা তোলার কাজ শুরু হয়েছে। ফার্স্ট ফ্ল্যাশের চা পাতা বলতে চিরাচরিত দুটি পাতা একটা কুঁড়ি।
ক্ষুদ্র এক চা চাষী জানান , অন্যান্য বছর দু এক ফোঁটা বৃষ্টি হয়। কিন্তু এ বছর বৃষ্টির দেখা নেই। এতে ফলন খুব একটি ভালো হয়নি। প্রথম পাতার দাম অনেকটাই বেশি থাকে। কৃত্রিমভাবে জল দিয়ে তেমন লাভ হয় না