নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বেলুড় :: আজ তাঁর নামেই অন্যতম সেরা বাজির ব্র্যান্ডিং। বেলুড়ের পিয়ারিমোহন মুখার্জি স্ট্রিট। ছিন্নমূলের পোড়ো কুটির আজ অট্টালিকা। অট্টালিকার গেটে এখনও লাইন পড়ে। নামের ঐতিহ্য এমনই। ফ্রেমবন্দি এই বৃদ্ধাই বুড়িমা। আসল নাম অন্নপূর্ণা দাস।
পেটের দায়ে শুরু করেছিলেন বাজিবিক্রি। আজ তাঁর নামেই অন্যতম সেরা বাজির ব্র্যান্ডিং। ফ্রেমবন্দি এই বৃদ্ধাই বুড়ীমা। আসল নাম অন্নপূর্ণা দাস। দেশভাগের শিকার। ওপার বাংলা থেকে এসে ঠাঁই হয় এই বেলুড়ে। দুই ছেলের পেটের জ্বালা মেটাতে শুরু করেন বিড়িবাঁধা। কিন্তু বিধি বাম ! এবার কালীপুজোয় ঠিক করলেন বাজির ব্যবসা করবেন।
তারপর যা ঘটল তা রূপকথা। বাঙালির শিল্পোদ্যোগের সোনালি ইতিহাস। চটোলেট বোম হয়ে উঠল দেশের সেরা শব্দবাজি। রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ল সুখ্যাতি। শিবকাশীর ব্যবসায়ীদের কপালেও চওড়া ভাঁজ ফেলল বুড়িমার জনপ্রিয়তা। তারপর নিষিদ্ধ হল শব্দবাজি। সালটা উনিশশো ছিয়ানব্বই। গত কুড়ি বছর ধরেই শুধু বাজিই বেচছেন বুড়ীমার বংশধররা। পটকা তাঁরা আর তৈরি করেন না।।
১৯৯৬ সালে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হল যে ৯০ ডেসিবেল ও তার বেশি যাবতীয় শব্দবাজি নিষিদ্ধ। তবে তাতে ‘বুড়ীমা’ ব্র্যান্ডের ব্যবসা খুব একটা মার খায়নি। পরবর্তী প্রজন্ম আলোর বাজির ব্যবসা শুরু করলেন। তবে চকলেট বোম জিনিসটা ঐ বছরই উঠে গেল। অবশ্য সেদিন দেখে যেতে পারেননি তিনি।
১৯৯৫ অর্থাৎ শব্দবাজি নিষিদ্ধ হওয়ার এক বছর আগেই প্রয়াত হন অন্নপূর্ণা দাস। আলো ও শব্দ এর পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয় তাকে। তিনি ছিলেন আধুনিকা। নারীদের ক্ষমতায়নের নজির হিসেবে ‘বুড়ীমা ‘ এক অন্যতম নাম