নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হাওড়া :: বুধবার ২০,সেপ্টেম্বর :: হাওড়া শহরে সরকারি হাসপাতাল বলতে দুটো হাসপাতালের উপর নির্ভর করে হাওড়ার সাধারণ মানুষ একটি হলো হাওড়া জেলা হাসপাতাল অন্যটি হলো হাওড়া ঘুসুড়িতে অবস্থিত টি, এল জয়সয়াল হাসপাতাল।
বর্তমানে জয়সওয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান তৃণমূলের ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর কৈলাস মিশ্রার তত্ত্বাবধানে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে সিকিউরিটি মজবুত করা হয়েছিল। কিন্তু পুনরায় জয়সওয়াল হাসপাতালে অব্যবস্থার চিত্র ধরা পড়ল গতকাল।
গত বৃহস্পতিবার রাত্রি আটটা ২৫ মিনিটে মালিপাঁচঘরা থানার অন্তর্গত ১৫ নম্বর পাঁচকড়ি মন্তর লেনের বাসিন্দা শকুন্তলা বর্মা, বয়স ৭৩ বছর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে তাকে তার ছেলে ও তার আত্মীয় পরিজনেরা জয়সওয়াল হাসপাতালে ভর্তি করান। ওই মহিলা কে দোতলায় মহিলা ওয়ার্ডের ২৬ নম্বর বেডে ভর্তি করে নেওয়া হয়।
ওই হাসপাতালে ভর্তি মহিলাকে বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বাড়ির আত্মীয়-স্বজনরা তার সঙ্গে দেখা করে কথা বলে গেছেন। কিন্তু গতকাল বিশ্বকর্মা পূজার দিন সন্ধ্যেবেলা তার ছেলে, গুড়ে বর্মা তার মাকে হাসপাতালে দেখতে আসলে এসে দেখেন তার মা নির্দিষ্ট ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে নেই। তখন তিনি হাসপাতালের কর্মরত নার্সদের জিজ্ঞেস করলে নাসরা বলে উনি নিচে জল আনতে গেছেন।
কিন্তু ছেলের বক্তব্য আমার মা চলাফেরা করতে পারেনা তাহলে নিচে গেলেন কি করে এই নিয়ে ছেলে মাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে, খুঁজে না পেয়ে ছেলের বক্তব্য জয়সওয়াল হাসপাতালে রোগীদের জন্য যে লিফট ব্যবহার করা হতো তা প্রায় কয়েক মাস বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। যে লিফটি চালু আছে সেটি হলো স্টাফ লিফট সেখানে রোগীরা উঠতে পারে না হাসপাতালে থেকে কড়া নির্দেশ আছে।
তাহলে আমার মা সিঁড়ি দিয়ে কি করে নামতে পারলো যে চলাফেরা করতে পারে না । তখন সে হাসপাতালের সমস্ত জায়গা তন্ন তন্ন করে খুঁজে নেয় মাকে । তিনি বলেন হাসপাতালে রোগী ভর্তি যেখানে থাকেন সেই ওয়ার্ডে ওঠার জন্য যে সিঁড়ি ব্যবহার করা হয় সেখানে কোন রক্ষী থাকেন না পাহারা দেওয়ার জন্য ।
হাসপাতালের অন্য স্টাফদের যখন রাত্রিবেলা জিজ্ঞেস করা হলো তখন গত কাল রাতে কর্মরত অন্য স্টাফরা বললেন আমাদের নিজেদেরই কোন নিরাপত্তা নেই। আমরা হাসপাতালে ডিউটি করি প্রাণ হাতে করে।
জয়সোয়াল হাসপাতালের থেকে ভর্তি হওয়া মহিলাটি নিখোঁজ হওয়ার পর বেলুড় থানাতে নিখোঁজ অভিযোগ করা হয় গতকাল রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বেলুড় থানা ও মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিশ এবং তারা হাসপাতালের সিসিটিভির ছবি দেখে তদন্ত নেমেছে, মালিপাঁচঘড়া ও বেলুড় থানার পুলিশ।