নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বৈঁচি :: সোমবার ২০,অক্টোবর :: হুগলির বৈঁচি গ্রামে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য বহন করে আজও পালিত হচ্ছে বড়মা কালীর আরাধনা। স্থানীয়দের বিশ্বাস, প্রায় পাঁচ শতাব্দী আগে এক সপ্নাদেশে পাওয়া মূর্তিতেই প্রতিষ্ঠিত হয় এই মন্দির।
গ্রামের মানুষ মাকে স্নেহভরে “বড়মা” বলে ডাকেন। দীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে অনুষ্ঠিত হয় এই বিশেষ কালীপূজা, যেখানে দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা মায়ের দর্শনে আসেন।
বিশেষ আকর্ষণ, বড়মার মূর্তি তৈরির প্রক্রিয়া। স্থানীয় মৃৎশিল্পী রমেশ হাজরা জানান, লক্ষ্মী পুজোর পরদিন থেকেই নিয়ম মেনে মায়ের মূর্তি গড়ার কাজ শুরু হয়।
আশ্চর্যের বিষয়, প্রতিবছর মূর্তির ২২ ফুটের দুটি দাঁত ভেঙে যায় যা ভক্তদের কাছে এক অলৌকিক লক্ষণ বলে ধরা হয়। কালীপুজোর দিন রাতে রং সম্পূর্ণ হওয়ার পরই মায়ের পূজা শুরু হয়।
আলো, ধূপ-ধুনো, শঙ্খধ্বনি ও ভক্তির আবহে মুখরিত থাকে সমগ্র বৈঁচি গ্রাম। ধর্মীয় ভক্তির পাশাপাশি এই কালীপূজা এখন বৈঁচি গ্রামের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠেছে।