ব্যাঙ্ক কর্মীর হাতে মোটা টাকা গুজে দিয়েই আধার ও প্যানকার্ড বানাচ্ছে বাংলাদেশীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বালুরঘাট :: শুক্রবার ৭,মার্চ :: ব্যাঙ্ক কর্মীর হাতে মোটা টাকা গুজে দিয়েই আধার ও প্যানকার্ড বানাচ্ছে বাংলাদেশীরা। ভুয়া নথি দিয়েই তৈরি হচ্ছে এই কাগজপত্র। বাংলাদেশীদের রাতারাতি ভারতীয় প্রমানপত্র তৈরিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য দক্ষিন দিনাজপুর জেলা পুলিশের হাতে। ঘটনায় হিলি থেকে গ্রেফতার এক বাংলাদেশী সহ মোট তিনজন।

পুলিস জানিয়েছে ধৃত ওই বাংলাদেশীর নাম শ্যাম সাহা। প্রায় চার বছর আগে অবৈধভাবে হিলি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে সে। এরপর ত্রিমোহিনীতে মাছের ডাক্তারি করবার মধ্য দিয়ে গোপন ডেরা বেঁধেছিল সে। যাকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ত্রিমোহিনীর মাছ ব্যবসায়ী অমৃত দাসের বিরুদ্ধে।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হিলির ত্রিমোহিনীর ওই মাছ ব্যবসায়ী বাড়ি থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা শ্যাম সাহাকে গ্রেফতার করে হিলি থানার পুলিশ। একই সাথে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করা বাংলাদেশীকে আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই মাছ ব্যবসায়ীকেও। অবৈধ এই বাংলাদেশিদের সহায়তায় অল্পদিনেই মাছ ব্যবসায় ফুলে ফেপে উঠেছিল অমৃত ।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই পুলিশের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ জানতে পারে কিভাবে বাংলাদেশীরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে রাতারাতি আধার ও প্যান কার্ড তৈরি করছে। ঘটনায় নাম উঠে আসতেই হিলির কিসমতদাপট এলাকার বাসিন্দা পেশায় ব্যাঙ্ক কর্মী অলোক পাল নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করে হিলি পুলিশ।

বালুরঘাট ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের ক্যাজুয়াল কর্মী অলক পালকে মাত্র ২২ হাজার টাকা দিয়েই আঁধার ও প্যান কার্ড তৈরি করিয়েছিল ওই বাংলাদেশি তা জানতে পেরেছে পুলিশ।

ব্যাঙ্কের ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন কাজে যুক্ত থাকা অলক পালের হাত ধরে ভুয়ো নথি দাখিল করেই শ্যাম সাহা নামে ওই বাংলাদেশি তৈরি করেছিল তার যাবতীয় কাগজপত্র। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে যে তথ্য উঠে আসতেই তুমুল হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 3 =