ব্যারাকপুর পুরসভার দু নম্বর ওয়ার্ডের পুরপিতা সম্রাট তপাদার কেমন কাজ করছেন ? কি বলছেন এলাকার মানুষ ?

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: ব্যারাকপুর :: ব্যারাকপুর পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত পৌরপিতা সম্রাট তপাদার তাঁর জীবনটাকে মনে হচ্ছে জনসেবায় নিমজ্জিত করে দিয়েছেন । অন্তত তাঁর বিগত দু মাসের কর্মকান্ড সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে ।

সম্রাট তপাদার তাঁর নিজের ওয়ার্ড নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন । পৌরপিতা নির্বাচিত হওয়ার পরে নয়, তার বহু আগে থেকেই সেই করোনা কালে তিনি দীর্ঘ প্রায় চারমাস ধরে সামাজিক ও আর্থিক ভাবে দুর্বলদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দুবেলা দুমুঠো অন্যের সংস্থান করেছেন । তাদেরকে বস্ত্র এবং শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন একেবারেই নিজ উদ্যোগে ।সেদিন এলাকার মানুষেরাও কিন্তু সম্রাটের পাশে এসে দলমত নির্বিশেষেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ।

সম্প্রতি ব্যারাকপুরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা বিগত বারো দিন ধরে তাঁর নিজের ওয়ার্ডের প্রতিটি মানুষের দরজায় গিয়েছেন এবং তাঁদের সুখ স্বাচ্ছন্দের পুর বিষয়ক খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং তাদের সমস্যার তাত্ক্ষনিক সমাধানের চেষ্টা করেছেন ।

আমরা আপনাদের কাছে একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরতে চাই । বিগত বারো দিনে তিনি তাঁর ওয়ার্ডের মোট ২১২৬ টি পরিবারে কাছে গেছেন এবং তাঁদের সমস্যার কথা জেনেছেন| 

পরিসংখ্যান বলছে যে তাঁর পৌর এলাকা থেকে মোট ৮৫ টি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন । তার মধ্যে তিনি প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ৭২ টি অভিযোগের সমাধান করে দিয়েছেন বলে স্থানীয়দের দাবি ।
বাকি অভিযোগ গুলি মূলত জমি সংক্রান্ত যেগুলি মিমাংসার জন্য সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সম্রাট তপাদার ।

সম্রাট তপাদার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তিনি আবার মাস চারেক পরে দুর্গাপুজোর কাছাকাছি সময়ে তাঁর ওয়ার্ডের সমস্যাগুলি জানতে আবার পুরবাসীদের দুয়ারে যাবেন । বিনীত সম্রাট বারবারই বলেছেন তাঁর দলনেত্রী এবং তাঁর নেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায় চান যে জনপ্রতিনিধিরা বিনয়ী হোন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান ।

এই বিষয়ে সম্রাট তপাদারের বক্তব্য, সম্প্রতি তাঁর ওয়ার্ডে কিছু অবৈধ নির্মান চলছে তিনি অবিলম্বে সেই নির্মান বন্ধের আদেশ দিয়েছেন |  পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে আমার পুর প্রতিনিধিত্বের সময়কালে কোনো অনৈতিক কাজকর্ম বরদাস্ত করা হবেনা । এমত অবস্থায় ব্যারাকপুর পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের দিকে অনেক আশা নিয়ে তাকিয়ে রয়েছেন স্থানীয় অধিবাসীরা ।

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × three =