নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: তিন বছর আগে নিজের ছবি এডিট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করেন হুগলীর ভদ্রেশ্বর থানা এলাকার এন এস রোড ক্ষুদিরাম পল্লীর বাসিন্দা সরোজিনী মন্ডল (২৩) । সেই ছবি দেখে প্রেমে পড়ে যান কালনার পূর্বস্থলীর মাজিদা পঞ্চায়েতের বড়ধামাস গ্রামের দেবার্ঘ্য ঘোষ ।
দুই জন বাড়ির অমতেই পালিয়ে বিয়ে করে নেন । এক বছর সবকিছু ঠিকঠাখ চললেও সংসারের ছন্দ পতন হয় বধূর গায়ের রং কালো বলে । শুরু হয় শ্বশুর বাড়ির লোকেদের গঞ্জনা । চলে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার বলে অভিযোগ । একসময় পারিবারিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আড়াই বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান সরোজিনী ।
দিন কুড়ি আগে বুঝিয়ে সুজিয়ে তাকে আবার শ্বশুরবাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয় । হঠাৎ গতকাল নিজের শ্বশুর বাড়ি থেকে বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় । মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা রকমভাবে অত্যাচার চালাত পরিবারের লোকেরা ।
মারধর করত । এমনকি তার স্বামী তার স্ত্রীকে এমনও বলত যে ফেসবুকের ছবি দেখে সে প্রথমে তাকে এত কালো বুঝতে পারেনি । তার স্বামীর অন্য জায়গায় সম্পর্কও ছিল।
তাই তার ওপর শারীরিক অত্যাচার ও গঞ্জনা চলতো বলে অভিযোগ ।এরপরই রহস্যজনক ভাবে কালনার পূর্বস্থলীর বড়ধামাস এলাকায় গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য আনা হয় ।
ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ স্বামী দেবার্ঘ্য ঘোষ ও শ্বশুর বাবলু ঘোষকে গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান করে ।