কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদা :: মানবিক রূপ পুলিশের। চার পাঁচ দিন ধরে রাস্তার ধারে পড়েছিলেন অজ্ঞাত পরিচয় ভবঘুরে এক বৃদ্ধা। বলতে পারছেন না নিজের নাম, ঠিকানা। গ্রামবাসীরা চার পাঁচ দিন ধরে বৃদ্ধার খাওয়ার করে দেন। পুরো বিষয়টি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাসের কানে আসতেই সেই গ্রামে ছুটে যান তারপরে সেই বৃদ্ধাকে এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ। সেখানে তার সেবা-শুশ্রূষার ব্যবস্থা করা হয় ।ওই ভবঘুরে বৃদ্ধার বাড়ি কোথায় তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে হরিশচন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত হরিশচন্দ্রপুর হাই স্কুলের পাশে পড়েছিলেন ভবঘুরে বছর ৫৫’র বৃদ্ধা।প্রায় চার পাঁচ দিন ধরে ওই ভাবেই ছিলেন তিনি। কিন্তু আসেনি তার বাড়ির কোন লোক খোঁজ করতে। এদিকে নিজেও তিনি তার নাম ঠিকানা বলতে পারছেন না। পাড়ার লোকেরা দুই-বেলা গিয়ে খাওয়ার এবং জল দিয়ে আসছিলেন।
দেখা মেলেনি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বা পঞ্চায়েত প্রধানের। যদিও এলাকাবাসীর দাবি তারা ঘটনাটি জানতেন। অবশেষে পুলিশ এসে উদ্ধার করে ওই বৃদ্ধাকে। এই মুহূর্তে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে তার নাম এবং পরিচয় জানার। চিকিৎসকেরা তার শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখছেন। বোঝার চেষ্টা করছেন তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কী না ?
স্থানীয় বাসিন্দা রিমা পাশওয়ান বলেন, ” চার পাঁচ দিন ধরে ওই ভাবে পড়েছিলেন। আমরা জল, খাওয়ার দিয়ে আসছিলাম। কিন্তু তার বাড়ির লোককে আসতে দেখা যায়নি। পুলিশ জানতে পেরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বা প্রধান জানলেও আসেন নি।”
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস বলেন,” আমরা জানতে পারি এরকম একজন মহিলা আশ্রয়হীন ভাবে পড়ে আছে। এসে দেখি উনি কিছু বলতে পারছেন না। হাসপাতালে উনার চিকিৎসা এবং সেবা-শুশ্রূষার ব্যবস্থা করেছি। সুস্থ হলে ওনাকে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।”
হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক ছোটন মন্ডল বলেন, ” হরিশ্চন্দ্রপুর থানা আইসির সাথে কথা হয়েছে। পুলিশ এসে ওই বৃদ্ধাকে ভর্তি করে যায়। বয়স হবে আনুমানিক (৫৫)। মানসিক ভারসাম্যহীন হলে সেই চিকিৎসার পরিকাঠামো গ্রামীণ হাসপাতাল এ নেই। সে ক্ষেত্রে অন্য জায়গায় পাঠাতে হবে।” এই ঘটনায় পুলিশের মানবিক রূপে খুশি এলাকাবাসী। কিন্তু স্থানীয় নেতা বা জন-প্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।