সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: বাঁকুড়া :: বাম রাজনীতির অঙ্গন ছাড়িয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে জনপ্রিয় তরুণ প্রজন্মের অন্যতম প্রতিনিধিত্বকারী মীনাক্ষী মুখার্জী, প্রতীক-উর রহমান, ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়দের পাশাপাশি সমানভাবে উচ্চারিত হয় জে.এন.ইউ-র প্রাক্তনী দীপ্সিতা ধরের নাম। ভারতের ছাত্র ফেডারেশানের সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ‘বঙ্গ ক্রাশ’ রাজনীতিক দীপ্সিতাকে রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় একেবারে অন্য ভূমিকায় পেলেন লাল মাটির জেলা বাঁকুড়ার মানুষ।
বাম ছাত্র সংগঠনের সর্বভারতীয় নেত্রী দীপ্সীতা ধরের ক্ষুরধার বক্তব্যের সঙ্গে কমবেশী অনেকেই পরিচিত। কিন্তু তিনি একজন ভালো নৃত্যশিল্পীও বোধহয় জানেনা অনেকেই। কিন্তু অভাবনীয়-অপ্রত্যাশিত সেই দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন বাঁকুড়ার মানুষ। এদিন বাঁকুড়া শহরের রবীন্দ্র ভবনে ‘পথের পাঁচালি’ নামে একটি সংগঠনের বার্ষিক অনুষ্ঠান ছিল। ঐ অনূষ্ঠানে দর্শকাসনেই ছিলেন দীপ্সিতা।
কিন্তু অনুষ্ঠান মঞ্চে গান করার সময় তাঁর পূর্বপরিচিতা জলপাইগুড়ির এক সঙ্গীতশিল্পী হঠাৎই তাঁকে মঞ্চে ডেকে নিলে আর ‘না’ করতে পারেননি তিনি। তাঁরই অনুরোধে ভবা পাগলার এক বিখ্যাত গানে শিল্পীর সঙ্গে গলা মেলানোর পাশাপাশি নাচ করতেও দেখা যায় তাঁকে।
প্রসঙ্গত, এদিন জেলার জয়পুরের হিজলিডিহা গ্রামে ছাত্র সংগঠনের এক রক্তদান শিবিরে যোগ দিতে এখানে এসেছিলেন ভারতের ছাত্র ফেডারেশানের সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপ্সিতা ধর। কর্মসূচী সেরে কলকাতায় ফেরার আগে বাঁকুড়া শহরে রাত্রিবাস করেন তিনি।
তখনই রবীন্দ্রভবনের ঐ অনুষ্ঠানে তাঁর যোগ দেওয়া ও শিল্পীর অনুরোধে দু’কলি গান গাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নাচও করেন বাম ছাত্র সংগঠনের এই নেত্রী বলে জানা গেছে। বাম ছাত্র সংগঠনের তুখোড় নেত্রীর এই গান ও নাচের যুগলবন্দির সাক্ষী থাকা এদিনের অনুষ্ঠানের দর্শকাসনে উপস্থিত অনেকেই তাঁদের অন্যতম বড় প্রাপ্তি বলে জানিয়েছেন।