সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ভাঙড় :: বুধবার ১২,জুলাই :: ভোট পেরোলেও ভাঙড় রয়েছে ভাঙড়েই। সন্ত্রাসের চিহ্ন এখনও স্পষ্ট এলাকায়। ভোট গণনার রাতে ফের নতুন করে অশান্তি শুরু হয় ভয়ের ভাঙরে ভাঙড়ে । নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে গুলিতে মৃত্যু হয় দুই আইএসএফ কর্মী সহ এক নিরীহ গ্রামবাসীর ।
মৃতদের নাম রেজাউল গাজী, হাসান আলী মোল্লা,রাজু মোল্লা ।গুলিতে আহত হন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ তাঁর দেহরক্ষী । পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই বার বার অশান্ত হয়েছে ভাঙড়। গণনার রাতেও কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ও আইএসএফ এর বিরুদ্ধে । আকাশ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে শুধু গুলির শব্দ । পরিস্থিতি এমন হয় যে, গণনাকেন্দ্রের ভিতরেই আটকে পড়েন তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম।
মঙ্গলবার রাত যত বাড়তেই থাকে নতুন করে উত্তপ্ত হয় ভাঙড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। শুধু কাঠালিয়াতেই নয় শানপুকুরের চণ্ডীহাট গ্রাম ও চালতাবেড়িয়া এলাকাতেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকদের উপরে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ কাদানি গ্যাসের সেল ফাটায়।অভিযোগের আঙ্গুল ওঠে আইএসএফের দিকে।
অন্যদিকে,রাতের অন্ধকারে কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনার খবর পেয়ে বারুইপুর পুলিশ সুপার মাকসুদ হাসানের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী পৌঁছালেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে বেগ পেতে হয় । এর পর এসে পৌঁছায় আশপাশের বেশ কয়েকটি থানা থেকে প্রচুর পুলিশ বাহিনী ।
রাতের অন্ধকার থাকায় সেই ভাবে কিছুই করে উঠতে পারেনি পুলিশ । বুধবার সকাল হতেই বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) পার্থ ঘোষের নেতৃত্বে ভাঙরে পৌঁছায় আরো পুলিশ বাহিনী । বিভিন্ন বাড়িতে বাড়িতে চলে তল্লাশি অভিযান। বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয় ।
এদিন দেখা যায় রাস্তার পাশে , ঝোপে-ঝাড়ে পড়ে রয়েছে একের পর এক তাজা বোমা। রাস্তায় পড়ে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত , পুলিশের কঙ্কাল সার ভাঙা গাড়ি । এরপর খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছায় বোম্ব স্কোয়াড । উদ্ধার হওয়া বোমা গুলি নিরাপদ দুরত্বে নিয়ে গিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয় ।