সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: সরকারি জমি জবরদখল করে নির্মাণকাজ চলছে বলে অভিযোগ এসেছিল। জলাজমি ভরাটও চলছিল নির্বিচারে। সেই বেআইনি কাজ বন্ধ করতে সক্রিয় হয় প্রশাসন। বেআইনি নির্মাণ রুখে তিন জনকে আটক করে কাশীপুর থানার পুলিশ।
গত কয়েকদিন ধরে ভাঙড় খালপাড়ে কামারগাঁথী রোডের ধারে পাঁচগাছিয়া তে সেচ দপ্তরের জায়গা জবরদখল করে অবৈধভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের। সেই জমিতে কংক্রিটের পিলার তোলা হয়। এলাকার কিছু জমি মাফিয়া তথা প্রোমোটাররা এই অবৈধ নির্মাণকার্য করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এর আগেও ওই এলাকায় একাধিক বেআইনি নির্মাণ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী বার বার সরকারি জায়গার দখলদারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন।
সেই বেআইনি কাজ বন্ধ করতে সক্রিয় হয় প্রশাসন। কাশীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন নির্মাণ শ্রমিককে আটক করে।পুলিশকে দেখে ঘটনাস্হল থেকে পালিয়ে যায় জমি জবরদখল কারিরা। কংক্রিটের কলম পিলার ভেঙ্গে দেয় পুলিশ।
এ বিষয়ে ওই অঞ্চল তথা ভোগালী ২ নাম্বার অঞ্চলের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সাহানুর ইসলাম বলেন, জমি মাফিয়ারা সরকারি জমি জবরদখল করে অবৈধভাবে বহুতল নির্মাণের কাজ করছিল।আমরা পুলিশ প্রশাসনের নজরে বিষয়টি নিয়ে আসতে পুলিশ বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘দিনের পর দিন ওই এলাকায় সরকারি জমি রাতারাতি জবরদখল করে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এক শ্রেণির রাজনৈতিক নেতাদের মদতে এবং সেখানে বেআইনি ভাবে বাড়ি তৈরি হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে জমির চরিত্র বদল না করেই ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকায় জলাভূমি ভরাট করে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। ভাঙড়ের পাঁচগাছিয়া খালধার পাড় এলাকায় সম্প্রতি জলাভূমি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে বেআইনি নির্মাণ। যা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে মানুষের।