উদয় ঘোষ :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: মা ও শিশুর জোড়া দেহ উদ্ধার হলো। গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলছে। ঘরের মেঝেতে পড়ে দেড়বছরের মেয়ের নিথর দেহ। শিশুটির গলায় প্যাঁচানো রয়েছে ওই মহিলার একটি ব্লাউজ। পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার হরিপুর গ্রামে শুক্রবার দুপুরে জোড়া দেহ উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ দেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানায় মৃতদের নাম চন্দনা বাউড়ি(ঘাটোয়াল)(১৯) এবং নন্দিনী ঘাটোয়াল(দেড় বছর)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় হরিপুর পুরনদিঘির পাড়ের বাসিন্দা সঞ্জীব ঘাটোয়ালের সঙ্গে বছর তিনেক আগে প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল আউশগ্রামের বটগ্রামের বাসিন্দা চন্দনার। সঞ্জীব জনমজুরি করেন। তারা তিন ভাই।
পাশাপাশি পৃথক পরিবারে থাকেন সঞ্জীবের বাবা ও এক ভাই। সঞ্জীব ও তার ভাই রাহুল একই বাড়িতে বসবাস করে। মৃতার পরিবার সূত্রে জানা যায় এদিন সকালে সঞ্জীব তার ভাই রাহুল কাজে চলে যান। বাড়িতে তখন মেয়েকে নিয়ে ছিলেন চন্দনাদেবী।
সঞ্জীব সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাড়িতে খেতে এসে দেখতে পান ঘরের দরজা বন্ধ। স্ত্রীকে ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় ধাক্কা দিয়ে দরজা খোলা হয়। তখন ওই ঘরে ঝুলন্তবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় চন্দনাদেবীকে। মেঝেতে গলায় একটি ব্লাউজ জড়ানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় দেড়বছরের নন্দিনীকে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে সঞ্জীবের সঙ্গে জনমজুরি করতে চন্দনাদেবীও যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাড়িতে বাচ্চা থাকায় তাতে আপত্তি করেন সঞ্জীব।
এনিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী একপ্রস্থ অশান্তি হয়।সম্ভবত সেই ঘটনার জেরেই রাগে অভিমানে মেয়েকে মেরে চন্দনাদেবী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে দাবি মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের। যদিও পুলিশ মৃতার আত্মীয়স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভাতার থানার পুলিস।