নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হাসনাবাদ :: বুধবার ১০,ডিসেম্বর :: সুকুমার দাস এর ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে নিজের বা তার পরিবারের কারো নাম নেই। হিঙ্গলগঞ্জের হাসনাবাদ পঞ্চায়েতের কদমতলা এলাকার ঘটনা ।
এখানকার পুরনো বাসিন্দা বিমল দাস । বিমল দাসের ছটি সন্তান, তার মধ্যে পাঁচটি ছেলে একটি মেয়ে । বিমল দাস মারা গেছে বিগত কয়েক বছর হয়েছে ।
এতদিন তার ছেলেরা কিছুই জানতো না, কিন্তু SIR শুরু হওয়ায় এখন জানতে পারে যে সুকুমার দাস নামে একজন বিমল দাসকে বাবা বানিয়ে প্রথমেই নিজে ভোটার হয়েছে তারপরে নিজের পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশী স্ত্রীকে ভোটার বানিয়েছে এবং তারপর নিজেদের নথিপত্র দিয়ে নিজের ছেলেকেও এখানকার ভোটার বানিয়েছে।
শুধু ভোটার কার্ডই না ভারতীয় যত নথিপত্র সবকিছুই তৈরি করেছে এই সুকুমার দাস ও তার পরিবার । পাশাপাশি সেই সব নথি দিয়ে রীতিমতো ভারতীয় যতরকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা সবই তারা ভোগ করে চলেছে ।
এই কথা জানার পর বিমল দাসের আসল ছেলে-স্বপন দাস বলেন । আমরা এতদিন কিছুই জানতে পারিনি । এখন জেনেছি যে আমার বাবার নথিপত্র ব্যবহার করে সুকুমার দাস বলে এক ভদ্রলোক এখানকার ভোটার কার্ড বানিয়েছে । আমরা চাই তার ভোটার কার্ড বাতিল হোক ।
যদিও এই বিষয়ে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই সুকুমার দাস বলেন তার বাবার নাম বিমল দাস । কিন্তু এই বিমল দাস তার বাবা সেটা তিনি এড়িয়ে গেলেন এবং প্রশ্নের মুখে পড়ে পালিয়ে ঘরে চলে গেলেন। একই ঘটনা ঘটালেন সুকুমার দাসের ছেলে। সেও প্রশ্নের মুখে পড়ে ঘরের ভেতরে পালিয়ে গেলেন ।

