নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হাওড়া :: বুধবার ৫,ফেব্রুয়ারি :: শহরের সঙ্গে শহরতলীর যোগাযোগের অন্যতম উপায় লোকাল ট্রেন। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ রুটি রুজির তাগিদে লোকাল ট্রেন চেপে কলকাতায় আসেন। অফিস যাত্রীদের সুবিধার জন্য দেশে প্রথম লোকাল ট্রেন চলে মুম্বাইয়ে।
১৯২৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া টার্মিনাস থেকে কুরলা পর্যন্ত ইএমইউ লোকাল ট্রেন চালানো হয়। পরে ইএমইউ সার্ভিস ওয়েস্টার্ন, নর্দান এবং ইস্টার্ন রেলওয়ে জোনেও চালানো শুরু হয়। ইস্টার্ন রেলের পক্ষ থেকে পাঁচের দশকের শেষ দিকে লোকাল ট্রেন চালানো হয়। প্রথম ই এম ইউ ট্রেন সার্ভিস শুরু হয় হাওড়া এবং শেওড়াফুলি জংশনের মধ্যে।
বর্তমানে শুধুমাত্র পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনে প্রতিদিন শহরতলী থেকে ৯ লক্ষ নিত্য যাত্রী যাতায়াত করেন। আজকের অনুষ্ঠানে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিলিন্দ দেওসকর বলেন গত ১০০ বছরে লোকাল ট্রেনের যাত্রী বহন ক্ষমতা বেড়েছে।
প্রায় একশো শতাংশ বৈদ্যুতিক লাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে চলাচলের জন্য ট্রাক এবং সিগনাল সিস্টেমের উন্নতির প্রয়োজন।
সেই কাজই করা হচ্ছে। এদিন তিনি আরো বলেন কল্যাণী রানাঘাট রুটে তৃতীয় লাইনের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে ট্রেনের গতি আরো বাড়বে। পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের নিত্যযাত্রীরা অফিস টাইমে লোকাল ট্রেন দেরিতে চলা নিয়ে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ আছে। এই প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন বেনারস রোড রেল ব্রিজ এবং চাঁদমারি রেল ব্রিজ তৈরি হওয়ার কারণে প্রচুর লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
ট্রেন লেভেল ক্রসিং পেরোনোর সময় একটু বেশি সময় লাগছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি যাত্রী সুবিধার জন্য ট্রেনের পরিকাঠামোর উন্নতি করা হচ্ছে। নতুন লাইন এবং সিগনাল সিস্টেমের কাজ চলছে। অত্যাধুনিক থ্রি ফেজ ইএমইউ লোকাল ট্রেন আনা হচ্ছে যাতে বন্দে ভারত ট্রেনের মত ট্রেনের গতি দ্রুত বাড়ানো যায়।