ভারতে সাংবাদিক নির্যাতন বাড়ছে – সংস্থা রাইটস অ্যান্ড রিস্কস অ্যানালিসিস গ্রুপ

নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ ::নয়াদিল্লি :: ভারতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর নানামুখী চাপ ক্রমশ বাড়ছে। বাড়ছে নির্যাতন, হামলা ও মামলার ঘটনা। ২০২১ সালে  ১২১ জন সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম আক্রান্ত হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে অন্তত ৬ সাংবাদিককে। ভারতীয় জাতীয় নিরাপত্তা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি মূল্যায়নকারী সংস্থা রাইটস অ্যান্ড রিস্কস অ্যানালিসিস গ্রুপ (আরআরএজি) এ তথ্য জানিয়েছে।

রাজ্যের বিবেচনায় সাংবাদিকদের অধিকার ভঙ্গের এসব ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে জম্মু–কাশ্মীরে, ২৫টি। তালিকায় এরপরই রয়েছে উত্তর প্রদেশ ২৩টি, মধ্যপ্রদেশ ১৬টি, ত্রিপুরা ১৫টি, দিল্লি ৮টি, বিহার ৬টি, আসাম ৫টি। এ ছাড়া হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে ৪টি, গোয়া ও মনিপুরে ৩টি, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গে ২টি এবং অন্ধ্র প্রদেশ, ছত্তিশগড় ও কেরালায় ১টি করে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

গত বছর ভারতজুড়ে ১৭ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আরআরএজি। তাঁদের মধ্যে নারী সাংবাদিক আটজন। সাংবাদিক গ্রেপ্তারেও এগিয়ে রয়েছে জম্মু–কাশ্মীর। ২০২১ সালে এখানে আটক হয়েছেন পাঁচজন সাংবাদিক। এ ছাড়া দিল্লিতে ৩ জন, মহারাষ্ট্র, মনিপুর ও ত্রিপুরায় ২ জন করে এবং আসাম, ছত্তিশগড় ও হরিয়ানায় ১ জন করে সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জনসংখ্যা ও আয়তনের বিবেচনায় ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলের ছোট্ট একটি রাজ্য ত্রিপুরা। অথচ সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় এই রাজ্য দেশটির বড় বড় রাজ্যগুলোর সঙ্গে রীতিমতো পাল্লা দিচ্ছে। এ বিষয়ে আরআরএজির পরিচালক সুভাষ চাকমা  বলেন, ‘ত্রিপুরা খুবই ছোট একটি রাজ্য। মহারাষ্ট্রের কোনো কোনো জেলায় চেয়েও এই রাজ্যের আয়তন কম। জনসংখ্যাও সীমিত। অথচ মহারাষ্ট্রের তুলনায় ত্রিপুরায় সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের ওপর আক্রমণ বেশি হয়েছে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − six =