কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: বৃহস্পতিবার ৩,অক্টোবর :: হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ভালুকা তে একসময় এলাকার জমিদার হরিমোহন মিশ্র তার জমিদারিতে দুর্গাপূজা শুরু করেছিলেন ঘটা করে। আজ এই জমিদারের স্থাপন করা পুজো বর্তমানে সার্বজনীন হয়ে গিয়েছে। ১৩১ বছর পেরিয়ে গিয়েছে এই পুজোর।
একসময় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মিশ্র জমিদারদের জমিদারি বিস্তৃত ছিল হরিশ্চন্দ্রপুর থানা র ভালুকা সহ বিহারের আজিমগঞ্জ, বারসই, মনিহারি সহ বেশ কয়েকটি এলাকায়। মিশ্র জমিদারির শুরু করার বর্তমান সার্বজনীন পুজো কমিটির সদস্য রাজেশ চৌধুরী জানালেন হরিমোহন মিশ্র দাপুটে জমিদারের সঙ্গে সঙ্গে ছিলেন ধর্মপ্রিয়।
সে সময় তাদের জমিদারীর মধ্যে ভালুকা ছিল প্রধান অংশ অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর ছিল সদর।প্রায় একশ ৩১ বছর আগে তখন এলাকায় ইংরেজ শাসন। সে সময় তাঁর জমিদারির ভালুকার ফুলহর নদীর তীরে প্রায় 200 বিঘা জমির উপর তৈরি করেছিলেন দুর্গা মন্দির। সাতদিন ধরে চলত দুর্গা পূজাকে ঘিরে উৎসব অনুষ্ঠান। আমন্ত্রিত হতেন ইংরেজ সাহেব রাও। চলতো গান বাজনা। কলকাতা থেকে আনা হতো যাত্রা পার্টি।
হাতির পিঠে করে জমিদার বাড়ির সদস্যরা যেতেন পুজো দিতে। চলতো নরনারায়ন সেবা ও বস্ত্র বিতরণ। আমন্ত্রিত হতো সারা জমিদার এর প্রজারা । হাজার ১৯৬৪ সালের ফুলহরের ভাঙ্গনে তলিয়ে যায় জমিদার হরিমোহন মিশ্রের তৈরি করা দুর্গা মন্দির।
তারপরেই ভালুকা বাজারে এই পুজো স্থানান্তরিত হয়ে যায়। ১৩০১ বঙ্গাব্দে জমিদার হরিমোহন এই দুর্গাপূজা প্রতিষ্ঠা করেন। আজও এই পুজো সার্বজনীন হয়ে গেলেও সাবেকি প্রতিমা এখনো বজায় রয়েছে বলে জানালেন রাজেশ বাবু।