বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীর সংস্থার আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করত অভিযুক্তরা ।পুলিশ জেলার পুলিশ তদন্ত নেমে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার হয় ভুয়ো আই কার্ড। এই প্রতারণা চক্র চালানোর জন্য প্রতারকেরা বেছে নিয়েছিল ডায়মন্ড হারবার শহরকে।
ডায়মন্ড হারবার শহরের প্রাণকেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ঝাঁ চকচকে অফিস খুলে ছিল প্রতারকেরা। স্পেশাল রিটেল ক্রাইম ইনফর্মেশন (SICI) নামে একটি সংগঠন খুলে চলতো প্রতারণা।
হিন্দি সিনেমা “স্পেশাল ২৬” এর স্টাইলে প্রতারণা করতো অভিযুক্তরা। ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ তদন্ত নেমে অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।
এই প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডা ফাল্গুনী চ্যাটার্জিকে কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তদের ডায়মন্ড হারবার মহকুমার আদালতে পেশ করা হলে অভিযুক্তদের পুলিশকে হেফাজতের নির্দেশ দেয় বিচারক।
এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে জানান, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা অফিসার হিসাবে নিজেদের কে পরিচয় দিত অভিযুক্তরা। এরপর এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে ধমকে চমকে মোটা অংকের টাকা আদায় করতো অভিযুক্তরা।
প্রতারিত এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনার মূল পান্ডা ফাল্গুনী চ্যাটার্জিকে আমরা গ্রেপ্তার করি।
মূলত বেশ কয়েকদিন আগে ডায়মন্ড হারবারের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন অফিসের উদ্বোধন করতে আসে এই ফাল্গুনী চ্যাটার্জি।ভারত সরকারের লোগো লাগানো একটি গাড়ি এবং নীল বাতি লাগানো একটি গাড়ি করে এই প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডা ফাল্গুনী চ্যাটার্জী এই অফিসের উদ্বোধন করতে আসে।এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতো ভয় দেখিয়ে অভিযুক্তরা।
অভিযুক্তদের নাম ফাল্গুনী চ্যাটার্জি, সুজাউদ্দিন শেখ, গোপাল বারিক, মোস্তাকিন মোল্লা, জামাল হালদার। এদেরকে গ্রেফতার করা হয়।