নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: কোলকাতা :: সিবিআই আর ইডির নাম করে কলকাতার নাম করা মিডিয়া হাউসের বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের নাম জড়িয়েছিল তোলাবাজিতে। জেলায় পুলিশ আর নেতাদের সঙ্গে যোগসাজসে সাংবাদিকদের একাংশ তোলাবাজিতে লিপ্ত বলেও অভিযোগ। এবার পড়শি দেশ ভূটানের রপ্তানি বাণিজ্যে বাধা বাংলার বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।
আমদানি রফতানির জন্য ভূটান ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গকেই ব্যবহার করে। সেদেশ থেকে মূলত সবজি ও ফল ভারতে আসে। সেই রফতানি বাণিজ্যে বাধা তোলাবাজি। এমনটাই অভিযোগ সেদেশের। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে এমনটাই খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে ভূটান এব্যাপারে সরকারিভাবে ভারতকে কিছু জানায়নি। তবে এব্যাপারে তদন্ত চলছে বলেও জানা গিয়েছে।
ভারত তথা বাংলার সীমান্তবর্তী জেলা আলিপুরদুয়ারের সীমান্তবর্তী শহর জয়গাঁ। অন্যদিকে রয়েছে ভূটানের ফুন্টশোলিং। এই পথেই দুই দেশের বাণিজ্য চলে। পর্যটকদের যাতায়াতও হয় এই পথে। তোলাবাজির অভিযোগ নিয়ে আলিপুরদুয়ারের এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন. এই ধরনের অভিযোগ প্রতিনিয়তই হয়। দুতরফেই এই অভিযোগ করা হয়।
তবে অভিযোগের ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলেও জানিয়েছেন, ওই পুলিশ আধিকারিক। এব্যাপারে সপ্তাহ খানেকের বেশি আগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্তও শুরু করা হয়েছে। তবে কোনও সাংবাদিকের নামে মামলা দায়েরের খবর তিনি জানেন না বলেও জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
তবে এই ধরনের অভিযোগের ব্যাপারে সীমা সুরক্ষা বল অর্থাৎ এসএসবি নিজেরাই তদন্ত করে থাকে। সেই কারণে জেলা পুলিশের ওই আধিকারিক বিশেষ কিছু বলতে চাননি। অন্যদিকে এসএসবি সূত্রে জানা গিয়েছে, এব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং এক আধিকারিককে বদলিও করে দেওয়া হয়েছে।
প্রায় তিন সপ্তাহ আগে ভূটানের রাজধানী থিম্পুর এক স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম ভূটানিজ-এ এব্যাপারে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল পাঁচ সাংবাদিক এবং এসএসবির আধিকারিকরা তোলাবাজিতে যুক্ত রয়েছেন। আমদানি কিংবা রপ্তানির ক্ষেত্রে দু থেকে তিনদিন আগে জয়গাঁর কাস্টমস অফিসে বিষয়টি জানাতে হয়। অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থাগুলির ব্যবসার খবর আগেভাগেই জানেন ওই সাংবাদিকরা।
এরা সেইসব আমদানি কিংবা রফতানিকারকদের ফোন করে প্রচুর টাকা দাবি করেন। যদি ব্যবসায়ীরা তা না করেন, তাহলে ফেসবুকে সেই ব্যবসায়ী সম্পর্কে ভিন্ন ধরনের খবরে ভরিয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। এরপর সীমান্তে এলে এসএসবি জওয়ানরা গাড়িকে রাস্তায় থামান এবং ফের তা ফুন্টশোলিংয়ে পাঠিয়ে দেন বলে অভিযোগ।
তবে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, সীমান্তে তোলাবাজির অভিযোগ সাধারণ ঘটনা। শুধু জয়গাঁওতেই নয়, মনিপুরে মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্তেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে বলে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে।