নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: দুর্গাপুর :: বৃহস্পতিবার ৯,অক্টোবর :: চুপিচুপি নাবালিকা মেয়ের বিয়ের তোড়জোড় চলছিল ঘরে। পরিবারের লোকজন ভিন রাজ্যে পাত্রের কাছে পাঠানোর সমস্ত বন্দোবস্তও প্রায় চূড়ান্ত।
বিয়ে হবার কথা ছিল মাত্র তিন দিন পরেই। কিন্তু ঠিক তখনই হাজির হয় পুলিশ, সঙ্গে দুর্গাপুরের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা।মুহূর্তের মধ্যে ভেস্তে যায় নাবালিকার অকাল বিয়ের ছক। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের সগরভাঙ্গা ঘুষিকডাঙা এলাকায়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সূত্রে খবর, বাবা মারা গেছে। তাই মা নাবালিকা কন্যার ভিন রাজ্যে বিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল গোপনে। খবরটি পৌঁছে যায় দুর্গাপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে।
সংস্থার কর্ণধার শিল্পী পাল জানান, “আমাদের কাছে গোপনে খবর আসে যে একটি নাবালিকার বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাই এবং বুধবার রাতে আমরা ওই বাড়িতে পৌঁছই।
পরিবারের কাছ থেকে জানতে চাই কেন ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।” পরিবারকেও সতর্ক করা হয় এবং জানানো হয় যে, আইন অনুযায়ী ১৮ বছর পূর্ণ না হলে মেয়ের বিয়ে দেওয়া যায় না।
শিল্পী পাল আরও বলেন, “আজ যদি আমরা চুপ থাকতাম, তাহলে হয়তো আরেকটি শিশুর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে হারিয়ে যেত। ওর মা কথা দিয়েছে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেবেন না আর। মুচলেখা নেওয়া হয়। সমাজকে বদলাতে হলে সচেতন হতে হবে।”