সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: গঙ্গাসাগর :: সোমবার ১৫,জানুয়ারি :: মকর সংক্রান্তির পূর্ণ লগ্নে সাগরে পুণ্যের ডুব দিলেন রাজ্য সরকারের ভারপ্রাপ্ত চার মন্ত্রী। দেশ-বিদেশ তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গঙ্গাসাগর মেলায় একটু মোক্ষ লাভের আশায় মকর সংক্রান্তিতে পূর্ণ তিথিতে স্নান করতে আসছে।
আর সেই তিথিতে রাজ্যের চার মন্ত্রী গঙ্গাসাগরে মেলা তদারকির দায়িত্বে ছিলেন পুলক রায় জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায় কৃষি মন্ত্রী এছাড়া রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ও শ্নেহাশীষ চক্রবর্তী পরিবহন দফতর এই চার মন্ত্রী আজ গঙ্গাসাগরে স্নান করলেন।
গত পাঁচ বছর ধরে গঙ্গাসাগর মেলার দায়িত্ব পালন করে আসছেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বোস। কিন্তু ১২ তারিখ তাঁর বাড়িতেই দীর্ঘ ১৪ ঘন্টা টানা তল্লাশি চালায় ইডি। মেলায় সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর দফতরের সমস্তটা তুলে ধরেন সুজিত বাবু। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা করে বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা চলছে!” এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী বর্তমানে তিনি পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী।
সাগরে পুণ্যার্থীদের জন্য ২৫০০ টি বাস, ৬টি বার্জ, ৩৮ টি ভেসেল, ১০০ টি লঞ্চ চলাচল করছে। এতে করে পুণ্যার্থীরা সহজেই যাতায়াত করে পৌঁছে যাচ্ছেন কপিল মুনির আশ্রমে।ইয়াস ঝড়ে কপিলমুনি মন্দির বরাবর সমুদ্রতটে ধস নেমেছিল। এবার তা নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে কপিল মুনির আশ্রম সহ মেলা চত্বরকে সুন্দর ভাবে সুসজ্জিত করে তোলা হয়েছে।
মন্দির সংলগ্ন এলাকায় বিশ্রামাগার, নতুন নতুন পাকা রাস্তা, স্ট্রিট লাইটস, তীর্থযাত্রী নিবাস, পানীয়জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।পুণ্যার্থীরা সাগরে ডুব দিতে শুরু করেছেন। সাগরের ৬টি স্নানঘাট কার্যত কানায় কানায় পূর্ণ। সাগরতটে চলছে গঙ্গাবন্দনা। কেউ কেউ প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতিও করছেন৷ প্রদীপের নিয়ন আলো, ধূপ, ধুনোর গন্ধে মোহময় হয়ে উঠেছে মিলনতীর্থ সাগরমেলা।
কেউ কেউ গরুর লেজ ধরে বৈতরণী পার হচ্ছেন। এদিকে এদিন রাত ১২:১৩ মিনিট থেকে সোমবার দুপুর ১২:১৩ মিনিট পর্যন্ত মকর সংক্রান্তির শাহি স্নানের যোগ ছিল। তাতেই যেন ভিড়টা আরও কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। পা ফেলার জায়গা নেই কোথাও। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। রয়েছে সবরকম আপতকালীন ব্যবস্থাও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সাগরে গিয়েছেন অরূপ বিশ্বাস, সুজিত ঘোষ বসু, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়েরা।