সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: মগরাহাট :: দীর্ঘ প্রায় কুড়ি মাস পরে খুলেছে স্কুল । কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে স্কুল খুলেছে গত সপ্তাহে । বহু স্কুলের পরিকাঠামো ফেরানোর কাজ এখনও চলছে। পরিকাঠামো পুনরায় আগের অবস্থায় ফেরানোর জন্য সমস্ত রকম সহযোগিতা করছে প্রশাসন। এরই মধ্যে একটি স্কুলের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নিলেন বিডিও।
শিক্ষকের ভূমিকায় বিডিওকে দেখে খুশি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে ছাত্র-ছাত্রীরাও। ক্লাস নেন ভাইরাস ও আবহাওয়ার পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ের উপর। ক্লাসে বিডিওর কথা মন দিয়ে শুনেছেন একাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছাত্রীরা।
মগরাহাটের হাঁসুড়ি হাইস্কুলের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে পৌঁছান মগরাহাট ২ নম্বর ব্লকের বিডিও আব্দুল্লা শেখ। তিনি স্কুলে পৌঁছে প্রধান শিক্ষক রনজিৎ হালদারের সঙ্গে কথা বলে স্কুলের পরিকাঠামো ঘুরে দেখার পাশাপাশি মিডডে মিলের খাবারের মান খতিয়ে দেখেন। এছাড়া কোভিড বিধি মেনে চলা ও ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন পাঠনের বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করেন বিডিও।
এরপর বিডিও সরাসরি ঢুকে যান স্কুলের একাদশ শ্রেণির ক্লাসরুমে। ক্লাসে পড়াশোনা নিয়ে কোন অসুবিধা হচ্ছে কি না তা নিয়েও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেন তিনি। এরপর তিনি ভাইরাস ও আবহাওয়ার পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে ছোট্ট একটি সচেতনতামূলক ক্লাস নেন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের বাসিন্দা আব্দুল্লা শেখ। ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচার রিসার্চের (আইসিএআর) চাকরি ছেড়ে বীরভূম জেলার সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের বিডিও পদে যোগ দেন। বিডিও পদে যোগ দেওয়ার আগে বীরভূম জেলা শাসকের দপ্তরে কাজ করেছেন এক বছরের বেশি সময়। এরপর সাঁইথিয়া ব্লকে বিডিও হিসেবে প্রায় দু’মাসের বেশি সময় ধরে কাজ করেন। কিন্তু সিউড়ি দু’নম্বর ব্লকে প্রায় দু’বছরের বেশি সময় ধরে বিডিও পদে থাকার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে মগরাহাট ২ নম্বর ব্লকের বিডিও হয়ে আসেন।
গত ২০১৪ সাল থেকে তিনি একটি অনলাইন কোচিং ক্লাস চালাতেন। প্রায় হাজারের কাছাকাছি ছাত্রছাত্রীকে অনলাইনে পড়িয়েছেন তিনি। ফলে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ছিলই।