নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হাওড়া :: ইচ্ছে হয় কোনও বিতর্কসভা হলে কলকাতাকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানাব হাওড়াতে এসে দেখে যান হাওড়ার ছেলেরা কী মাপের পুজোর আয়োজন করতে পারেন সে দুর্গাপূজা হোক বা কালীপূজা। শনিবার হাওড়ায় এক কালীপুজোর উদ্বোধনে এসে সাংবাদিকদের একথা বলেন আইএফএ-র প্রাক্তন সহ সভাপতি তৃণমূল নেতা শ্যামল মিত্র।
তিনি বলেন, হাওড়া ৫০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন শহর। হাওড়ার মানুষের সবচেয়ে বড়ো প্রাপ্তি এখানে রাজ্য সরকারের প্রধান সচিবালয় নবান্ন রয়েছে, যেটা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়ার মানুষকে উপহার দিয়েছেন। এখন যেখানে নবান্ন আগে ওই বিল্ডিং পড়ে ছিল। গারমেন্টসের ব্যবসা হতো। মুখ্যমন্ত্রী তাকে নতুন রূপ দিয়েছেন। আমরা বলতেই পারি কলকাতার থেকে হাওড়া কোনও অংশেই কম নয়।
কলকাতা যদি দুর্গাপূজা কালীপূজা নিয়ে গর্ব করতে পারে আমরাও গর্ব করতেই পারি। এখানেও কালীপূজার বিসর্জন শোভাযাত্রা কার্নিভালের আকার নেয়। প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় হাওড়ার বেশ কয়েকটি শ্যামাপুজোর উদ্বোধন হয়। মধ্য হাওড়ার ডলফিন ক্লাবের পুজোর শুভ উদ্বোধন করেন উত্তর কলকাতার সিমলা অঞ্চলের স্বামীজীর পৈতৃক বাসভবনের মহারাজ স্বামী বিশদানন্দজি।
দেবীকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে মন্ত্রোচ্চারণ এবং আরতি করে মায়ের পুজোর সূচনা করেন মহারাজ। উপস্থিত ছিলেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারপার্সন ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী, আইএফএ এর প্রাক্তন সহ সভাপতি তথা হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ শ্যামল মিত্র, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মৃণাল দাস, দীনবন্ধু মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।