নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কোচবিহার :: রবিবার ৭,সেপ্টেম্বর :: মনীষী পঞ্চানন বর্মার তিরধান দিবসের ৭২ ঘণ্টা আগেই কোচবিহার থেকে তার মূর্তি গায়েব হয়ে গেল। এই ঘটনা সামনে আসে কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের সুটকাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের বর্তমান এবং প্রাক্তন দুই জেলা সভাপতি দু’রকম বক্তব্যকে ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা রয়েছেন সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ । জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক ,জেলা তৃনমূল চেয়ারম্যান গিরীন্দ্র নাথ বর্মন সহ তৃণমূল নেতৃত্ব এলাকায় তারা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে একটি মিছিল করেন ।
তবে বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে এই ঘটনা ঘটেছে। বর্তমান ও পুরানো দুই গোষ্ঠীর গন্ডগোলাই এই ঘটনা । যেহেতু আগের গোষ্ঠী এই মূর্তি বসিয়েছিলেন ।
তিন দিন পর পঞ্চানন বর্মার তিরোধান দিবস রয়েছে তাই বর্তমান গোষ্ঠী সেখানে আবার নতুন করে মূর্তি বসিয়ে ক্রেডিট নেবে । যার ফলে এই ঘটনা । ৯ সেপ্টেম্বর পঞ্চানন বর্মার তিরোধান দিবস।
প্রতিবছরই এই দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয় কোচবিহারে। তার আগে পঞ্চানন বর্মার মূর্তি একেবারে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
তৃনমূল জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, নতুন করে আবার মূর্তি বসানো হবে পাশাপাশি একটু কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে যাতে মুক্তির রক্ষনাবেক্ষন করা যায় । পুলিশ প্রশাসনকে বলব যে দুষ্কৃতীরা এই ঘটনায় ঘটেছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ।
অন্যদিকে এই বিষয় নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় বলেন, যেভাবে মূর্তিটি কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে পরিকল্পিত রাজনৈতিক ফায়দা কে সামনে রেখে এই কাজ করা হয়েছে।