ময়না কাঠের শক্তিপূজা, যুগচ্ছেদন এর মাধ্যমেই বড় দেবীর পূজার সূচনা হলো কোচবিহারে।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কোচবিহার   :: মঙ্গলবার ১৩,আগস্ট :: ময়না কাঠের শক্তিপূজা, যুগচ্ছেদন এর মাধ্যমেই বড় দেবীর পূজার সূচনা হলো কোচবিহারে। কোচবিহার রাজ আমলে প্রতিষ্ঠিত বড় দেবী, কোচবিহারের দুর্গাপূজা বলতে বড় দেবীর পুজো সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহ্যবাহী।
এই পুজোর প্রচুর রীতিনীতি রয়েছে, তার মধ্যে প্রথম এবং প্রধান রীতি হল শক্তি কাঠের পুজো। মঙ্গলবার কোচবিহার ডাঙ্গরাই মন্দিরে শক্তি পূজার মাধ্যমে বড় দেবীর পূজার সূচনা হল। শক্তি অর্থাৎ মেরুদন্ড, বিশেষ প্রজাতির কাঠ থেকে এই মেরুদন্ড নির্মাণ করা হয় বড় দেবীর। ময়না কাঠ।
এই কাঠ এই মন্ত্রের মাধ্যমে শক্তি স্থাপন করেন রাজপুরোহিত দীনেন্দ্র নাথ ভট্টাচার্য। সম্পূর্ণ পুজোর সময় দু ঘন্টার উপরে। ফল ফুল দিয়ে শক্তি দন্ড কে বোধন করা হয়। স্নান করিয়ে নতুন বস্ত্র পরানো হয়। এই শক্তি দন্ড ডাঙ্গরাই মন্দির থেকে নিয়ে যাওয়া হয় মদনমোহন মন্দির এ। সেইখানে একমাস যাবত পুজো হবে ।
রাজপুরোহিত বলেন, এই পুজোয় বলি প্রথা প্রচলিত আছে। মূলত শক্তি পুজোয় রক্তের প্রয়োজন হয় রাজ বিধি মেনে। বর্তমানে কবুতর বলি দেওয়া হয়। একমাস পুজো হওয়ার পরে এই কাঠ চলে যায় মায়ের মেরুদণ্ড হিসেবে স্থাপিত হতে। এই কাঠের ওপর ভিত্তি করেই গোটা প্রতিমা তৈরি হয়। বড় দেবীর মূর্তি। কোচবিহারের ঐতিহ্য তথা রাজ গৌরবের প্রতীক।
মদনমোহন বাড়ি থেকে এই শক্তি দন্ড চলে যায় বড় দেবী মন্দিরে। সেখানেই নির্মাণ হয় বড় দেবী। শ্রাবনের শুক্লা অষ্টমী তিথিতে পুজো হয় ময়না কাঠের। এই পুজো কে বলা হয় যুগচ্ছেদন। কৃষ্ণ অষ্টমীতে দেবী বাড়িতে পুজো শুরু হয় বড় দেবীর বাড়িতে।
রাধা অষ্টমী তিথিতে বড় দেবীর মন্দিরে যাবে ময়না কাঠ এবং সেখানেই মূর্তি নির্মাণ শুরু হবে। তারপরে পুজোর সময় পুজো হবে দেবীর। আজ সন্ধ্যায় দুয়ার বক্সী ঢাক বাজনার সহকারে পুজো হওয়া এই ময়না কাঠ মদনমোহন বাড়িতে নিয়ে যাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 3 =