নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ ::বাঁকুড়া :: মরনোত্তর দেহ নজির গড়ছে বাঁকুড়া। একটা সময় রুক্ষ সুক্ষ লালমাটির জেলা বাঁকুড়াতে মরোনত্তর দেহ দানের কথা হয়তো ভাবতে পারতেন না কেউই। তবে এবার মরনোত্তর দেহদান নিয়ে গ্রামীণ বাংলাতেও মানুষের মধ্যে যে আগ্রহ তৈরী হচ্ছে তার ফের প্রমাণ মিলল বাঁকুড়ায়।
বাঁকুড়ার বেলবনী গ্রামের বাসিন্দা, বিজ্ঞান আন্দোলনের কর্মী ররুণ ঘোষের মা ভাগ্যবতী ঘোষ প্রয়াত হন শনিবার সন্ধ্যায়। পরিবার সূত্রে খবর, মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। ২০১২ সালে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তিনি অ্যানাটমি বিভাগে মরনোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করে ছিলেন।
তাঁর সেই অঙ্গীকার মতো পরিবারের পক্ষ থেকে এদিন হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগ কর্তৃপক্ষের হাতে প্রয়াত ভাগ্যবতী ঘোষের দেহ তুলে দেওয়া হয়।’আমার পরিবারের প্রায় প্রত্যেকেই মরনোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করা আছে। মৃত্যুর পর ঐ দেহ পুড়িয়ে নষ্ট না করে চিকিৎসাবিজ্ঞানের কাজে লাগুক সেটাই তারা চেয়েছেন বলে জানান মৃতার ছেলে বরুণ ঘোষ।