ব্যুরো নিউজ :: সংবাদ প্রবাহ :: কোলকাতা(সুদান) :: মঙ্গলবার ২৩,জুলাই :: প্রায় বছর দুই ধরেই সুদনে চলেছে এক ধরনের গৃহযুদ্ধ – ক্ষমতা দখলের লড়াই। সুদানে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে নেমেছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীরই দুই জেনারেল- আবদেল আল ফতা আল বুরহান ও জেনারেল মহম্মদ হামদান দাগালো।
প্রথম জন সুদানের সেনাপ্রধান এবং ২০১৯ থেকে দেশের সর্বোচ্চ শাসনব্যবস্থার জন্য ভারপ্রাপ্ত কাউন্সিলের প্রধান। দ্বিতীয় জন দেশের আধাসামরিক বাহিনী ‘র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স’ (আরএসএফ)-এর প্রধান তথা কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য।
দুজন জেনারেলের বিরুদ্ধেই মানবাধিকার ভঙ্গ, লুটতরাজ, নৃশংসতা ও ধর্ষণে মদতের অভিযোগ রয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে এই দুপক্ষের মধ্যে চলেছে নিরন্তর লড়াই। আর সেই কারণেই দেশে নেই খাদ্য, নেই পানীয় জল। চরম দুর্দাশায় সাধারণ মানুষ।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, আফ্রিকার দেশটিতে চলা এই গৃহযুদ্ধের জেরে ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে অন্তত ৬০ লক্ষ মানুষ। প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই পড়শি দেশ চাদে আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে, দারফুরে গণহত্যা চালাচ্ছে ‘র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স’ ও তাদের সঙ্গী আরব মিলিশিয়াগুলো। অমুসলিমদের নিশানা করছে তারা। ধর্ষণকে যুদ্ধের হাতিয়ারের মতো ব্যবহার করছে তারা। একাধিক মহিলার বিবৃতি তুলে ধরেছে আন্তর্জাতিক ওই সংবাদমাধ্যম।
যেখানে মহিলারা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছেন, অসংখ্য মহিলাকে লাইনে দাঁড় করিয়ে তাঁদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করে সেনা সদস্যরা। বিনিময়ে তাঁদের হাতে দেওয়া হয় সামান্য কিছু খাবার ও জল। যা দিয়ে পরিবারের পেট ভরায় তাঁরা। এক মহিলা জানান, এটা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই আমার কাছে। বিশ্ব মানবাধিকার কমিশন এখনও এই ব্যাপারে নীরব দর্শক হয়ে আছে।