মহিলার সাথে ফোনালাপ ফাঁস রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: মঙ্গলবার ৭,মে ::  একাধিক মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক! সেই কারণে কাউকে দিয়েছেন ফ্ল্যাট আবার কাউকে দিয়েছেন এইমস হাসপাতালে চাকরি, প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্তমান বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ একদা তারই সহকর্মী পূর্ণিমা দত্তর। এ বিষয়ে জগন্নাথ সরকারের কাছে প্রতিক্রিয়া চাইতে গেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেজাজ হারালেন তিনি।

ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করলেন সাংবাদিকদের। উল্লেখ্য,পূর্ণিমা দত্ত বিজেপির রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেছেন। দলে থাকাকালীন সাংসদ জগন্নাথ সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিল রাজনৈতিক মহলে। দল ছাড়ার বিষয়ে পূর্ণিমা দত্ত বলেন, সাংসদ জগন্নাথ সরকারের যে ব্যবহার এবং রুচিবোধ তা সহ্য করতে না পেরে তিনি দল ছেড়েছেন।

তিনি বলেন বান্টি রায় নামে এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে তার। সেই মহিলাকে একটি ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন জগন্নাথ সরকার। পাশাপাশি তার অভিযোগ তার ছেলেকে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ভর্তি করে দিয়েছেন সাংসদ থাকাকালীন। অন্যদিকে তার মেয়েকে এমসে একটি চাকরিও করে দিয়েছে। শুধু তাই নয় এছাড়াও একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে জগন্নাথ সরকারের বলে অভিযোগ করেন পূর্ণিমা দত্ত।

পূর্ণিমা দত্ত বলেন তার এই অবৈধ সম্পর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, জগনাথ সরকারের স্ত্রীও এখন তাকে একা ছাড়তে ভয় পায়। রানাঘাট লোকসভার বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের কিছু ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। অন্যদিকে দিন কয়েক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নদিয়ায় তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা করতে এসেও জগন্নাথ সরকারকে এই অবৈধ সম্পর্ক নিয়েও আক্রমণ করেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন জগন্নাথ সরকারের যে একাধিক মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে তার প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। এ বিষয়ে রানাঘাট কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন এই অভিযোগের যদি সত্যতা প্রমাণ করতে পারেন তাহলে তিনি প্রার্থী থেকে সরে দাঁড়াবেন। অর্থাৎ ভোটে আর লড়াই করবেন না।

বিভিন্ন অডিও এবং ভিডিও ভাইরাল নিয়ে তাকে প্রশ্ন করতেই মেজাজ হারান জগন্নাথ সরকার। সাংবাদিকদের প্রতি ব্যক্তির আক্রমণ করতে থাকেন তিনি। তবে জগন্নাথ সরকারের মন্তব্যের পাল্টা আক্রমণ করেন পূর্ণিমা দত্ত। পূর্ণিমা দত্ত বলেন আমার অভিযোগ যদি ভিত্তিহীন হয়ে থাকে তাহলে জগন্নাথ সরকারের ক্ষমতা থাকলে আদালতে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুন। কিন্তু ওনার সাহস নেই আদালতে মামলা করার। কারণ তাহলে সব সত্যতা বেরিয়ে আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight − one =