সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: মহেশতলা :: প্রতিবার কালীপুজো ও দীপাবলির মুখে রাজ্যের আতসবাজি ব্যাবসায়িদের সঙ্গে আদালতের টানাপোড়েনের দিন শেষ। একেবারে নীরবে মহেশতলাতে বাজির সবুজ বিপ্লব শুরু।
নুঙ্গি বাজি বাজারের ঘোষপাড়ায় একটি বাগান বাড়িতে আজ থেকে শুরু হল প্রশিক্ষণ। প্রথম দিনই কোর্স শেষ করে সার্টিফিকেট পেলেন এ রাজ্যের সাত জেলা থেকে আসা ৪০ জন বাজি নির্মাতা। এরা এবার থেকে গ্রিন বাজি তৈরি করতে পারবেন।
জাতীয় পরিবেশ ও প্রকৌশল গবেষণা ইনস্টিটিউট জাতীয় পরিবেশ ও প্রকৌশল গবেষণা ইনস্টিটিউট বা নেরি আসলে দেশে গ্রিন বাজি তৈরির ছাড়পত্র দেওয়ার নোডাল এজেন্সি বা নিয়ামক সংস্থা।
যারা ইতিপূর্বেই তামিলনাড়ুর শিবকাশি, হরিয়ানার রোহতক সহ দেশের সমস্ত বৈধ বাজি নির্মাতাদের আগে ট্রেনিং ও পরে সার্টিফিকেট দিয়ে গ্রিন বাজি নির্মাতার তকমা দিয়েছে। আজকের ট্রেনিং এর জন্য নাগপুর থেকে উড়ে এসেছেন নেরির চিফ সায়েন্টিস্ট সাধনা রাইলু।
এইমুহুর্তে রাজ্যের সবকটি জেলা মিলিয়ে বাজি নির্মাতার সংখ্যা মাত্র ৭০। তারমধ্যে আজ ট্রেনিং নিলেন ৪০। এই ট্রেনিং নিতে গেলে ফায়ার লাইসেন্স থাকতেই হবে নির্মাতার। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি, রাজ্যে কুটিরশিল্পের পর্যায়ে চলে যাওয়া বাজি নির্মাণে যুক্ত কমপক্ষে হাজার দশেক মানুষ।
তারমধ্যে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় মিনিস্ট্রি অফ পেট্রোল এবং বিস্ফোরক নিরাপত্তা সংস্থা বা পেসো-র ছাড়পত্র আছে মাত্র ৭০ জনের। আবেদন করেছেন আরও ৩০০। তাও বৈধ বাজি নির্মাতার সংখ্যা শতাংশের হিসেবে পাতে দেওয়ার মতো না। তাই আদালতের নির্দেশে সব থেকে বেশি আতান্তরে পড়তে হয় পশ্চিমবঙ্গকেই।
সুচনা ছোট আকারে। তবু প্রভাব অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী। এবার আর আদালতের শেষ মুহূর্তের নির্দেশে উৎকণ্ঠা নয়। গ্রিন বাজি দিয়েই বাজিমাত। মহেশতলায় পরিবেশ বান্ধব বাজি তৈরীর প্রশিক্ষণ উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহন দপ্তরের প্রতি মন্ত্রী দিলীপ মন্ডল।