নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: ঝাড়গ্রাম :: জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের সংগঠন আর নেই এমনটাই দাবি করে পুলিশ প্রশাসন । কিন্তু শনিবার দেখা গেল এক অন্য চিত্র ।আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা বেলপাহাড়ীর । মাওবাদী নেতা কিষানদা ওরফে প্রশান্ত বসু সস্ত্রীক ধরা পড়েছে ঝাড়খন্ডে ।
তারই প্রতিবাদে ২০ নভেম্বর অর্থাৎ শনিবার আজ ভারত বনধের ডাক দিয়েছিল মাওবাদীরা এমনটাই সূত্রের খবর । অনেকেই দাবি করেছিল এই বনধে মাওবাদী প্রভাবিত রাজ্যে গুলি ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে বিন্দুমাত্র ছুঁচ ফোটাতে পারবে না ।
কিন্তু শনিবার সকাল থেকে দেখা গেল এক অন্য চিত্র । বেলপাহাড়ির রাস্তায় কোন যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী লরির দেখা নেই । এমনকি বাজার হাট বন্ধ, খাঁ খাঁ করছে রাস্তাঘাট । যদিও মাওবাদী শীর্ষ নেতা কিষানজির মৃত্যুর পর থেকে সেই ভাবে আর মাওবাদী গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়নি জঙ্গলমহলে ।
যদিও বিধানসভা, লোকসভা ও পঞ্চায়েত ভোট এলেই পাহাড় জঙ্গল ঘেরা বিস্তীর্ণ এলাকায় মাও নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হয় । তখন পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় পোস্টার গুলি মাওবাদীদের নয় ওই গুলি এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তির কার্যকলাপ ।
সকাল থেকে বেলপাহাড়ি ব্লকে বনধের ব্যাপক প্রভাব লক্ষ্য করা যায় । বেলপাহাড়ী , ভুলাভেদা চাকাডোবা, বাঁশপাহাড়ীতে দোকান বাজার বন্ধ , যানবাহনের দেখা নেই রাস্তাঘাটে । এমনকি ঝাড়গ্রাম শহরের বুকে বেশকিছু দোকান বন্ধ রয়েছে । শহরের মধ্যে কোন যাত্রীবাহী বেসরকারি বাসের দেখা নেই বললেই চলে । এই শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেল সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে বেসরকারি বাস ।
কেন দাঁড়িয়ে রয়েছে বাস জানতে চাওয়া হলে ঝাড়গ্রাম বাঁকুড়া রুটের বেসরকারি বাসের এক কর্মী বলেন , আজ মাওবাদীদের ডাকা বনধ রয়েছে । তাই বাস বন্ধ রয়েছে । তিনি আরো জানান, এই বন্ধে সমস্ত বাসই বন্ধ রয়েছে । যদিও ঝাড়গ্রাম শহরের সিংহভাগ দোকান খোলা থাকলেও স্বাভাবিক দিনের মত খদ্দের নেই । শহরের রাস্তায় কিছু টোট ,ছোট পণ্যবাহী যান চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে । আজ বন্ধের চিত্র দেখার পর স্বাভাবিকভাবে মানুষের মনের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি আবার মাওবাদী কার্যকলাপ সক্রিয় হচ্ছে জঙ্গলমহলে।