নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: কোলকাতা :: নোবেল জয়ী মাদার তেরেসার প্রতিষ্ঠান মিশনারিজ অব চ্যারিটি যাতে আর বিদেশ থেকে অর্থ ভারতে আনতে না পারে, সে জন্য তাদের প্রয়োজনীয় অনুমতি আপাতত বাতিল করা হয়েছে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, কিছু ‘আপত্তিজনক তথ্যের’ কারণেই এই অনুমতি দেওয়া হয়নি।
মিশনারিজ অব চ্যারিটি সদর দপ্তর কলকাতায়, ফলে সেখানে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া অন্য দেশ থেকে প্রতিক্রিয়া এসেছে ।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এই ঘটনায় তিনি মর্মাহত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মমতা বলেছেন, মিশনারিজ অব চ্যারিটির ২২ হাজার রোগী ও কর্মীর কাছে খাবার ও ওষুধ পৌঁছাচ্ছে না। আইন সর্বোচ্চ এটা যেমন ঠিক, তেমনই মানবিক দিকটা দেখাও একান্তভাবে প্রয়োজন।
জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেছেন, ‘সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মোদি সরকারের ঘৃণার প্রকাশ আরও একবার ঘটল। এবার মাদার তেরেসা এবং তাঁর মিশনারিজ অব চ্যারিটিকে এর ফল ভুগতে হলো।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো একই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিপিআইএমের (কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া মার্ক্সিস্ট) পশ্চিমবঙ্গের সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। ২২ হাজার রোগীর কাছে ওষুধপথ্য না থাকার বিষয়টি তিনিও সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম বলেছেন, ‘মাদার তেরেসার স্মৃতিকে এর চেয়ে বড় অপমান হয়তো আর করা যেতে পারত না। তিনি সারা জীবন গরিবের জন্য কাজ করে এই উপহার পেলেন।’