নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বসিরহাট :: শনিবার ২৩,আগস্ট :: বসিরহাটের খড়িডাঙ্গা এলাকায় বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে গুরুতরভাবে আহত হলো এক হনুমান। ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারে শক খেয়ে তার পায়ের উপরের অংশের মাংস ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়।
অসহায় অবস্থায় রক্তাক্ত হনুমানটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন স্থানীয় এক মহিলা। এরপর তাঁকে নিয়ে আসা হয় বসিরহাট পৌরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর পরিমল মজুমদারের কাছে।
সংবাদ পাওয়ামাত্রই তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে প্রতিদিন দুইবার ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে ড্রেসিং, ওষুধ খাওয়ানো থেকে শুরু করে ফলমূল খাওয়ানো—সব কিছুই নিজে হাতে করছেন তিনি। একটি প্রাণীর জন্য এমন যত্ন দেখে অবাক হয়েছেন অনেকে।
স্থানীয়দের কথায়, “মানুষের মতো প্রাণীদের প্রতিও তাঁর হৃদয় সমান দরদী।” আসলে এ প্রথম নয়। প্রায় দু’বছর আগে একইভাবে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা গিয়েছিল আরও এক হনুমান।
সেই ঘটনার পর তাঁর উদ্যোগে এলাকায় একটি হনুমান মন্দিরও তৈরি হয়। আর এবার জীবিত এক হনুমানের চিকিৎসার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি।
পরিমলবাবুর এই উদ্যোগ আজ বসিরহাটে মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। আহত হনুমানের চিকিৎসায় তিনি যে নিষ্ঠা ও ভালোবাসা দেখাচ্ছেন, তাতে জোর গলায় অনেকেই বলছেন—“প্রকৃত মানবিকতা এমনই হওয়া উচিত।”