কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদা :: দিনে-দুপুরে গ্রামের বুকে গুলি চালাচ্ছে স্বয়ং তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দেওর তথা তৃণমূল নেতা। পাশের থেকে অনেকে আবার উৎসাহ যোগাচ্ছেন। শিখিয়ে দিচ্ছেন কেমন করে চালাতে হয়। এমনই এক ভিডিও সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হয়েছে। তারপরই মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর জুড়ে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। যদিও ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। গোটা ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে এলাকার তৃণমূল নেতারা। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা সংবাদ প্রবাহর যাচাই করা সম্ভব হয়নি ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যুবক মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান তোরিনা খাতুনের দেওর। ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রধানের দেওর আরজাউল হককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে! আরজাউল দলের সক্রিয় কর্মী। দিন কয়েক আগেই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের কাতলামারি এলাকায় বাশির ও উনসাহাক গোষ্ঠীর বিবাদে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়। দুই গোষ্ঠীই তৃণমূলের আশ্রিত বলে অভিযোগ।
গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলকে ঘিরে ফের ওই দুই গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলকে ঘিরে ফের ওই দুই গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর মালিওর-২ এ বাম ও কংগ্রেস বোর্ড গঠন করে। পরে প্রধান ও বাকি সদস্যরা শাসক শিবিরে নাম লেখান। প্রধানের বিরুদ্ধে দলেরই একাংশ অনাস্থা পেশ করে। কিন্তু প্রধান আদালতের দ্বারস্থ হয়ে স্থগিতাদেশ পেয়েছেন। তা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। এই আবহেই প্রধানের দেওরের বন্দুক থেকে গুলি ছোড়ার ভিডিও ভাইরাল হতেই হইচই পড়ে গিয়েছে।
কাতলামারী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল বাসীর ও মহম্মদ উনসাহাক।দীর্ঘদিন ধরে এরা দু’জন একে অপরের প্রতিপক্ষ।এরই সুবাদে বাসীর এবং উনসাহাকের নামে নাম করণ হয় দুটি গোষ্ঠীর।এমনকি সেখানকার বসবাসকারী স্থানীয় মানুষেরাও এই দুই গোষ্ঠীতে বিভক্ত।যার ফলে ওই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হামেশাই চলতে থাকতো প্রাণঘাতি সংঘর্ষ।
এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান আমরা ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছি। অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার ওপরে ওই এলাকায় চলছে পঞ্চায়েত প্রধানের নির্বাচনকে ঘিরে অনাস্থা। আর এরই মধ্যে তৃণমূল নেতার গেরিলা কায়দায় গুলি ছোড়ার ভিডিও ভাইরাল হতে এলাকায় বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ ভিডিও কি ভবিষ্যতে আরো বড়ো ঘটনা ঘটানোর ইঙ্গিত?নাকি অন্যকিছু? সবটাই নজর রাখছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।