নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদা :: ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালাতেন কমল। পরে চায়ের দোকান দেন। দোকানে চায়ের পাশাপাশি লটারির টিকিটও বিক্রি করতেন তিনি। সেই দোকানের বিক্রি না হওয়া একটা টিকিটই ভাগ্য খুলে দিল তার। ওই লটারিতে এক কোটি টাকা জিতে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যান কমল মহলদার (৩৫)।
কমলের দোকানের বেশ কয়েকটি টিকিট অবিক্রিত থেকে যায়। লটারি ড্র হওয়ার পর কমল জানতে পারেন একটি অবিক্রিত টিকিটে এক কোটি টাকা জিতেছেন তিনি। এর পর কোনো ঝুঁকি না নিয়ে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লটারির টিকিট নিয়ে হাজির হন কমল। এ সময় রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া কমলকে দেখতে থানায় ভিড় করেন এলাকার মানুষ।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমলের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কুশিদা হাটখোলা এলাকায়। বাড়িতে কমলের স্ত্রী, দুই সন্তান ও বয়স্ক বাবা-মা আছেন। কমলের মা নির্মলা মহলদার কুশিদা বাজারে সবজি বিক্রেতা। ছেলের লটারি জেতার খবরে তিনি বলেন, আমার ছেলে আগে ঝালমুড়ি বিক্রি করত। তার পর চায়ের দোকান দেয়। মাঝে মাঝে লটারির টিকিট কাটত, টিকিট বিক্রিও করত বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে। আজ ওর ভাগ্য ফিরেছে। কোনো নিরাপত্তার অভাব যেন না হয়, তাই থানায় এসেছি।
এ ব্যাপারে কমল বলেন, আমি মাঝে মাঝে টিকিট কাটতাম। এত টাকা পাব কোনো দিন ভাবিনি। আপাতত টাকা পেয়ে আমি ঋণ শোধ করব, সন্তানদের নামে রাখব কিছু টাকা। আর বাড়ির একেবারেই ভগ্নদশা, সেটা দ্রুত ঠিক করব।
এ ব্যাপারে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ কর্মকর্তা সঞ্জয়কুমার দাস জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় লটারির টিকিট নিয়ে থানায় আসেন কমল মহলদার নামে কুশিদার এক বাসিন্দা। তাকে সব রকম ভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানিয়েছি আমরা।