কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: ২০১৭ সালের বন্যার ত্রাণ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তিনজন অবশেষে আত্মসমর্পণ করলো। এর আগে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিল দুজন। আর মঙ্গলবার আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে পঞ্চায়েত প্রধান। এই ঘটনায় শাসক দলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর বন্যার ত্রাণ কেলেঙ্কারিতে আবার নতুন মোড়।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এবার চাঁচল মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সোনা মনি সাহা। ২০১৭ সালের বন্যা ত্রাণ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মোট তিন জনকে সুপ্রিম কোর্ট আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেয় দুই সপ্তাহের মধ্যে। আজ ছিল তার শেষ দিন।
ইতিমধ্যেই বাকি দুই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আফসার হোসেন এবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাদক্ষ রোশনারা খাতুন হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদেরকে ১০ দিনের পুলিশি হেপাজত চেয়ে চাঁচল মহকুমা কোর্টে তোলা হয়েছে।
২০১৭ সালের বন্যার ত্রাণ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ৩ মাথা দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। প্রধানের নামে হূলিয়া জারি থেকে শুরু করে সম্পত্তি ক্রোক করেছিল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্ত ৩ জন আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করলে সেটিও বাতিল হয়ে যায়।
আদালত থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আর এই নির্দেশের মধ্যেই পরপর তিন জন আদালতে আত্মসমর্পণ করার ঘটনা নতুন দিকে মোড় নিল বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকে ২০১৭ সালের বন্যার ক্ষতি-গ্রস্তদের জন্য দুই দফায় ১৩ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ এই টাকা প্রকৃত বেনেফিশিয়ারি না পেয়ে বেশ কিছু তৃণমূল নেতা এবং জন-প্রতিনিধিদের পকেটে গিয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার মতো দুর্নীতির অভিযোগ হয়েছে। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে।
বরুই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সোনা মনি সাহা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আজ আমি কোর্টে এসে আত্মসমর্পণ করলাম। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমি সিবিআই তদন্তের দাবি করছি। তাহলে কারা এর পিছনে জড়িত প্রমাণ হয়ে যাবে।