কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ ::মালদা :: পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজের মাটি কাটার প্রকল্প এর কাজ নির্ধারিত জমিতে না করে অন্যের জমিতে জোরপূর্বক করা হচ্ছে। এমনকি ওই জমিতে কোর্টের ইনজংশনকে উপেক্ষা করে গায়ের জোরে দুষ্কৃতী দিয়ে মাটি কাটাচ্ছেন এলাকারই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। এই কাজে বাধা দিতে গেলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। বেআইনি ভাবে মাটি কেটে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে ওই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইলাম এলাকায় ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজের মাটি কাটার কাজের জন্য ১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। অভিযোগকারী এলাকারই তৃণমূল কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইলাম এলাকায়।
তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে এলাকার তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ ওঠায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসে পড়েছে।
গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল।অন্যদিকে সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা মর্জিনা খাতুনের স্বামী সুলতান আলী । তিনি জানান ওই ব্যক্তির সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। সরকারি প্রকল্পের কাজ সমস্ত কাগজ কলম বজায় রেখেই করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজারের মাধ্যমে এই মাটি কাটার কাজ চলছে।
ওই ব্যক্তি মাটি কাটার জন্য আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছিল। আমি সেই টাকা দিতে অস্বীকার করায় এই ধরণের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। আমরা আইন মেনেই ওই জমিতে মাটি কাটার কাজ করছি। তাছাড়া ওই জমি সোহরাব আলী বলে এক ব্যক্তির। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই মাটি কাটা হচ্ছে।
তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে এলাকার তৃণমূল কর্মীদের মাধ্যমে ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র কটাক্ষ করেছে এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব রূপেশ আগারওয়াল । রাজ্যজুড়ে প্রতিটা পঞ্চায়েতের দুর্নীতি রমরমিয়ে চলছে।
আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ এই দুর্নীতি পরায়ন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে জবাব দেবে। পাল্টা বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল জেলা সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান। গোটা ঘটনায় শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর।