নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কর্ণজোড়া :: বৃহস্পতিবার ১৪,আগস্ট :: উত্তর দিনাজপুরের কর্ণজোড়ায় অবস্থিত মুক ও বধিরদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র সরকারি হোম ‘সূর্যোদয়’ এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকল।
প্রথমবারের মতো এই হোমে দুই বিশেষ সক্ষম তরুণ-তরুণীকে হিন্দু শাস্ত্র মতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করল জেলা প্রশাসন। দুজনেই মুক ও বধির—কথা বলতে ও শুনতে পারেন না। শৈশবে পরিবার হারিয়ে একেবারে অনাথ হয়েছিলেন তারা।
শুধুমাত্র সূর্যোদয় হোমের ছায়াতেই বড় হয়ে ওঠা এই দুটি প্রাণের জীবনে আজ পূর্ণতা এলো।এই দিনের বর বেশি নায়ক ক্যানিং পান্থ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে পাওয়া গিয়েছিল বলে তার নাম রাখা হয়েছিল ক্যানিং। পথে পাওয়া গিয়েছিল বলে টাইটেল পান্থ। ১৯৯৯ সালে তার স্থান হয়েছিল রায়গঞ্জের সূর্যোদয় হোমে।
অন্যদিকে বধুবেশী কন্যাটিকে পাওয়া গিয়েছিল মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনায়, তাই তার নাম রাখা হয়েছিল চন্দ্রকোনি পান্থ। ২০১৩ সালে তারও স্থান হয়েছিল রায়গঞ্জের সূর্যোদয় হোমে।
শৈশব-কৈশোর পেরিয়ে তারা এখন যৌবনে পদার্পণ করেছেন। এখানেই একইসঙ্গে পড়াশোনা, খেলাধুলো ও নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে বড় হয়েছেন। ইশারায় ইশারায় কথা বলে কখন তারা প্রেমের বন্ধনেও আবদ্ধ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে তাঁরা দুজনেই কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠিত ও স্বাবলম্বী।
তবে জীবনসঙ্গী হিসেবে একে অপরকে পাওয়ার স্বপ্নটি পূরণ হল এবার। কন্যা দান করলেন হোমের অধ্যক্ষ পার্থসারথি দাস। অন্যদিকে বরপক্ষের অভিভাবক হলেন স্বয়ং জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা এবং অতিরিক্ত জেলা শাসক মানস কুমার মন্ডল।