উদয় ঘোষ :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: মুখ্যমন্ত্রীর বিধি নিষেধাজ্ঞাকে বুরো আঙ্গুল দেখিয়ে আইন লঙ্ঘন করে তৃণমূল নেতার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো রক্তদান শিবির। যদিও রক্তদান শিবিরের জন্য ৫০ জনকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেখানে দাঁড়িয়ে দলনেত্রীর নির্দেশকে না মানায় প্রশ্নের মুখে তৃণমূল নেতা।যদিও একথা অস্বীকার করেন তৃণমূল নেতা মানস ভট্টাচার্য।
দেশের সাথে সাথে পশ্চিম বাংলাতেও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা সংক্রমণ।বাড়ছে ওমিক্রমের মতোও মারন ভাইরাসের সংখাও।সেখানে দাঁড়িয়ে আজ বর্ধমান ১ ব্লকের যুব সভাপতির উদ্যোগে বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের প্রীতিলতা মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্বেচ্ছায় রক্ত দান শিবিরের।রক্তদান শিবির গিয়ে দেখাগেলো প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষের সমাগম।
রক্তদান করেছেন তিন শতাধিক রক্তদাতা।মাইকে রক্ত দান শিবিরের ছবি তুলতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য।রক্তদান শিবির গিয়ে দেখাগেলো প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের সমাগম। অধিকাংশ মানুষের মুখে নেই মাস্ক, হাতে নেই সেনিটাইজার।এমনকি যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য নিজেই মাস্ক ব্যবহারের অনীহা প্রকাশ করেন।
প্রশ্ন উঠছে যদি এতো লোকের সমাগম করে রক্তদান শিবির করা যেতে পারে তাহলে মানুষের স্বার্থে দুয়ারে সরকার করার করার কি অসুবিধা ছিলো।
টেলিফোনে যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য বলেন একটি মুমূর্ষু রোগীর প্রান বাচাতেই এই রক্তদান শিবির।একটি মুমূর্ষু রোগীর প্রান বাঁচাতে গিযে আরো পাঁচশোটি মানুষের প্রান হানি ঘটাচ্ছেন না প্রশ্ন সাধারন মানুষের।
বিধায়ক নিশীথ মালিক বলেন পূর্ব ঘোষিত বর্ধমান ১ ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আজ রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। শিবিরে ৩০০,ইউনিট রক্ত সগ্ৰহ করা হয়েছে।যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষের নির্দেশ মতো এই রক্ত দান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।নিশীথ বাবু বলেন মুমূর্ষু রোগীর জন্য এই রক্তদান শিবির। মাস্ক না পরায় বর্ধমান ১ পঞ্চায়েত সমিতির বন কর্মাধ্যক্ষ বাণেশ্বর চৌধুরী কে প্রশ্ন করা হলে তিনি রীতিমত সাংবাদিককে হুমকি দেন ।তিনি বলেন সারাজীবন মাস্ক পরিনি আর এখন।