সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: গঙ্গাসাগর :: শনিবার ৩,মে :: মুড়িগঙ্গা নদীতে নাব্যতা কমে যাওয়ার কারণে ভেসেল চলাচলের অসুবিধা হয়। রাজ্যের অন্যতম প্রান্তিক এই গঙ্গাসাগর দ্বীপে মূল ভূখণ্ড সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যমই হল নদীপথ। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বন্ধ হয়ে যায় ভেসেল পরিষেবা ।
এছাড়াও জোয়ার ভাটার ওপর অনেকটাই ভরসা করতে হয়, গঙ্গাসাগরের বাসিন্দাদের। সাগরবাসিরা বারবার রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিল গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণ। রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাগরদ্বীপের বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখে মুড়িগঙ্গা নদীর উপর আনুমানিক প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বাজেটে গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণের জন্য ৫০০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে এবং ২০২৩-২০২৪ অর্থবর্ষে গঙ্গাসাগরের সেতু নির্মাণের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মুড়িগঙ্গা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজের জন্য ইতিমধ্যেই ব্লু প্রিন্ট তৈরি করা হয়েছে। কাকদ্বীপের সঙ্গে গঙ্গাসাগরের সংযোগকারী এই সেতু গঙ্গাসাগর সেতু হিসেবে পরিচিত হতে চলেছে।
ইতিমধ্যেই পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকেরা লিঙ্কিং রোডের জন্য এলাকা পরিদর্শন করেছে। কাকদ্বীপে ১৩৯ জন এবং গঙ্গাসাগরে ৩৯ জন বাসিন্দাদের জমি ও বসত ভিটে এই লিংকিং রোডের আওতায় পড়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জমি অধিগ্রহণ করার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের পাশাপাশি জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ হিসাবে টাকা ও তুলে দেয়া হচ্ছে।
শুক্রবার সাগর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দপ্তরে সাগরের ৩৯ জন বাসিন্দার জমি অধিগ্রহণের পাশাপাশি জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চেক তুলে দেওয়া হয়।
সাগরদ্বীপের বাসিন্দা কমলাকান্ত গুটিয়া জানান, গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণের জন্য লিঙ্ক রোডের প্রয়োজনে কচুবেড়িয়া থেকে আশ্রম মোড় পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে লিঙ্ক রোড। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জমি অধিগ্রহণের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করা হয়েছে। আমার বেশ কিছু জমি ও বসত ভিটে ওই লিংক রোডের আওতায় পড়ে গিয়েছে।
এলাকার উন্নয়নের জন্য ও গঙ্গাসাগর সেতুর জন্য আজ সেই জমি ও বসতভিটে আমার রাজ্য সরকার হাতে তুলে দিতে হলো। এর বিনিময়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। এমনই গঙ্গাসাগরের ৩৯ জন বাসিন্দাদের জমি অধিগ্রহণ করল রাজ্য সরকার। জমি অধিগ্রহণ বাবদ ক্ষতিপূরণ টাকা দেয়া হয়।