মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বাঁধ পরিদর্শনে এসে সুন্দরবন বাঁচাতে তৎপর সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: সুন্দরবন :: বসিরহাটের সুন্দরবন লাগোয়া ব্লক সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, হাড়োয়া ও মিনাখাঁয় যেসব নদী রয়েছে তার মোট নদী বাঁধ ৭৫০ কিলোমিটার। তার মধ্যে মাত্র ৩০ কিলোমিটার কংক্রিটের বাঁধ রয়েছে। বাকিটার কাজ চলছে। বর্ষা আসতেই দুর্ভোগের শিকার হন সুন্দরবনবাসী।

ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ২৬৫০টি কংক্রিটের সেতু রয়েছে। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি দুর্বল নদীবাঁধ ও সেতুগুলোকে সংস্কারের কথা জানিয়েছেন।

সেই কাজ দ্রুত করার জন্য এবার সুন্দরবনের কংক্রিটের সেতু ও দুর্বল নদীবাধ পরিদর্শনে স্বয়ং রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, উত্তর ২৪ পরগণার জেলা শাসক শরদ কুমার ত্রিবেদী, জেলা সেচ আধিকারিক রানা চ্যাটার্জি, সহ প্রশাসনিক কর্তারা।

যে সমস্ত এলাকায় বাঁধ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে সেখানে নেমে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে তাদের অভাব অভিযোগগুলি শোনেন। তারপর সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জানান, ইতিমধ্যে বাঁধ গুলি মেরামতির কাজ পুরোদমে শুরু করার জন্য রিভার রিসার্চ টিম তৈরি করা হয়েছে।

যারা মূলত সুন্দরবনের নদী পার্শ্বস্ত বাঁধ গুলিতে এসে পর্যবেক্ষণ করেন। অন্যদিকে রাজ্যের বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, বাঁধকে রক্ষা করতে ইতিমধ্যে ১৫ কোটি ৩০ লক্ষ ম্যানগ্রোভ অর্থাৎ গরান, গেওয়া ও কেওড়ার মত গাছগুলি পূর্ব মেদনীপুর দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও বসিরহাটের নদীমাতৃক এলাকায় বসানো হয়েছে। পাশাপাশি ম্যানগ্রোভকে রক্ষা করত জাপানি প্রযুক্তিতে মালয়েশিয়ার বাটি ঘাস রোপন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve + four =