মোবাইল জুয়ায় সর্বস্বান্ত হয়ে আত্মঘাতী উত্তর দিনাজপুরের কলেজ ছাত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: হেমতাবাদ :: রবিবার ১০,আগস্ট :: অ্যাপের মাধ্যমে জুয়া খেলে পরিবারের জমানো প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা উড়িয়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার পর বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন এক কলেজ ছাত্রী।

মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থানার ভরতপুরের তিলান গ্রামে। মৃত ছাত্রীর নাম অলকা বর্মন (২১)। তাঁর বাড়ি তিলান গ্রামেই। তিনি কালিয়াগঞ্জ কলেজের স্নাতক স্তরের কলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। শনিবার সকালে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অলকার বিয়ের পাকা কথা প্রায় হয়ে গিয়েছিল। দুর্গাপুজোর পরেই বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিবারের আক্ষেপ, মেয়ে মোবাইলে জুয়া খেলার খপ্পরে পড়েই সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিল। অলকার মা সুফলা বর্মন জানান, কন্যাশ্রী প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা ছিল।

ওই টাকা ছাড়াও তাঁর স্বামীর কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সঞ্চিত অর্থ, তাঁর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-এর টাকা সহ প্রায় সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা জুয়ায় খাটিয়ে শেষ করে দেন তাঁর কলেজ পড়ুয়া মেয়ে। মা-বাবার অজ্ঞাতসারে তিনি এমটিএমের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে সব টাকা তুলে নেন বলে অভিযোগ।

আমরা ওকে বুঝিয়ে সৎপথে ফেরানোর চেষ্টা করছিলাম।’কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘরে ঢুকে বিষপান করেন অলকা। ঘটনা জানাজানি হতেই তড়িঘড়ি তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার সকালে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

অলকার বাবা, পেশায় টাইলসমিস্ত্রি, রাজেন বর্মন আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমাদের পরিবারে অলকাই ছিল প্রথম কলেজে পড়া মেয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 5 =