নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কাকদ্বীপ :: মৎস্যজীবীর রহস্য মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপের ৮ নম্বর তিলক চন্দ্রপুরের।
মৃত মৎস্যজীবীর নাম পেটান দাস (৬২)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় পেটান দাস কাকদ্বীপ এলাকার ৮ নম্বর তিলক চন্দ্রপুর এর বাসিন্দা। পেশায় মৎস্যজীবী পেটান দাস এফবি রাজলক্ষ্মী নামে একটি ট্রলারে কাজ করতেন।
গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য ৮ সেপ্টেম্বর নামখানা গিয়েছিল তারপর থেকে পরিবারের লোকজনেরা কোনরকম ভাবে যোগাযোগ করতে পারেনি ওই মৎস্যজীবীর সঙ্গে। ৯ তারিখে কাকদ্বীপ থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৎস্যজীবীর পরিবারের লোকজনেরা।
এরপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা দিন গতকাল সাগর থানার অন্তর্গত সুমতি নগরে নদীতে ভাসতে দেখা যায় একটি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ।
উদ্ধার করে সাগর থানার পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য কাকদ্বীপ পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়। এরপর বুধবার সকালে পরিবারের লোকজনেরা মৃতদেহটি নিখোঁজ পেটান দাসের বলে দাবি করে। পেটান দাসের মেয়ে জানিয়েছে, রাজলক্ষী ট্রলারের মাঝি বীরঞ্জন পেটানকে মারতে মারতে বাড়ি থেকে কাজে যোগ দেয়ার জন্য নিয়ে যায় নামখানায়।
তারপর থেকে আর মৎস্যজীবীর সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ হয়নি। ট্রলারের অন্যান্য কর্মীরা বলেন পেটান নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল। কিন্তু কি কারণে মৃত্যু তা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে।
মৎস্যজীবী রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ। মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যদের দাবি এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত আছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক পুলিশ।
মৎস্যজীবীর রহস্য মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ।