নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: রবিবার ২৯,সেপ্টেম্বর :: পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের নাদনঘাট পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বড়ঢেক এলাকায় রবিবার কবর থেকে এক গৃহবধূর মৃতদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠালো নাদনঘাট থানার পুলিশ। এদিন রবিবার ওই এলাকায় নাদনঘাট থানা পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে এই কাজ সম্পন্ন হয়।
জানা গিয়েছে মৃত ওই গৃহবধুর নাম শবনম খাতুন। মেমারি থানার অন্তর্গত সিদ্ধড়িয়া এলাকার বাসিন্দা শবনমের সাথে বড়ঢেক এলাকার বছর চারেক আগে ফিরোজ উদ্দিন মোল্লার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই চলতো নানান রকম ভাবে গৃহবধুর ওপর অত্যাচার তার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের ।
গত ২৩ তারিখ গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি থেকে তার বাপের বাড়ির লোকজনেদের খবর দেয়া হয় তার মেয়ে ফ্যান চালাতে গিয়ে ইলেকট্রিক শক খেয়েছে। তাকে মন্তেশ্বর হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে । পরবর্তী সময় সেখান থেকে বর্ধমান নিয়ে যাবার পথেই তার মৃত্যু হয়।
এরপরই মৃতদেহ ময়নাতদন্ত না করে তড়িঘড়ি গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে এসে কবর দিয়ে দেয়া হয় । এতেই সন্দেহ দানা বাঁধে, মৃতের বাপের বাড়ির লোকজনের। এই নিয়ে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের সাথে কথা বলতে এলে, তাদেরকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
এ প্রসঙ্গে এদিন রবিবার বেলা বারোটা নাগাদ মৃত ওই গৃহবধুর বাবা শেখ নাসির আলী বলেন, পরিকল্পিতভাবে মেয়েকে খুন করা হয়েছে। মেয়ের কান নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, একই সাথে মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এমনকি কবর দেওয়ার পরের দিন কবর থেকে মৃতদেহ গায়েব করারও পরিকল্পনা করেছিল তারা।
এরপরই প্রশাসনের নির্দেশ মতন অভিযোগ দায়ের করি,সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আজ মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে মৃতদেহ তোলা হয়। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হসপিটাল এ হবে মৃতদেহের ময়না তদন্ত। যদিও অভিযুক্তদের এদিন কাউকেই এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়নি।