নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বসিরহাট :: উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের স্বরূপনগর থানার সারাফুল ডাকবাংলো গ্রাম পঞ্চায়েতের সারাফুল বিশ্বাস পাড়ার ঘটনা। বছর ৩৯ এর এর রেবা বিশ্বাস রায় ।তার স্বামী কুড়ি বছর আগে মারা যায়। সে বাপের বাড়িতে থাকতো কয়েক বছর ধরে আইসিডিএস কর্মী হিসেবে গ্রামে নিযুক্ত।
রাজ্য আবাস যোজনার ঘর সার্ভে করতে গিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হেনস্তার হচ্ছে শিকার হতে হচ্ছে সরকারি আধিকারিক থেকে শুরু করে আইসিডিএস কর্মীদের। গত দুদিন আগে আবাস যোজনার ঘর সর জমিনে খতিয়ে দেখতে গ্রামে গেলে একদিকে গ্রামবাসীদের গালিগালাজ মানসিক চাপ অন্যদিকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপ এই দুইয়ের চাপে বেশ কয়েকদিন ধরে মানসিক দন্ডে ভুগছিলেন।
সেই চাপ সহ্য করতে পারছিলেন না এমনকি নিজের বোন অঞ্জলি মন্ডল ও দাদা গোপাল বিশ্বাস কে পুরো বিস্তারিত জানায়। তারপর তারা তারা দিদিকে বলে তুই দরকার হলে বিডিওর কাছে গিয়ে চাকরি থেকে রিজাইন দিয়ে আয়,। গতকাল রবিবার দুপুর বেলা রেবা দেবী জানান যে দুই পক্ষের চাপের কাছে আমি আর সহ্য করতে পারছি না আমি সুইসাইড করব।
আজ সকাল বেলা বাড়ির পেছন থেকে কাঁঠাল গাছ থেকে তার ঝুলন্ত মৃতদে উদ্ধার করে স্বরূপনগর থানার পুলিশ। ময়না তদন্তের জন্য বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। সারাপুর নির্মাণ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান অরুণ বিশ্বাস বলেন আমাকেও বেশ কয়েকদিন ধরে এই কথা জানিয়েছে।
আমি পুরো বিষয়টা উদ্বোধন কর্তৃপক্ষকে জানানোর কথা বলেছিলাম। চাপের কাছে নতি শিকার হয়ে কেনইবা এই আত্মহত্যা করল বুঝতে পারছি না। যারা এর সঙ্গে যুক্ত তাদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানছে মৃত রেবা দেবীর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা। তদন্ত শুরু করেছে সরূপ নগর পুলিশ ও বিডিও।